যাঁদের ডায়াবেটিস রোগ নেই তাঁরা কি সুগার-ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন?
যাঁরা মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করেন তাঁদের ক্ষেত্রে ওজন কমানো খুবই কঠিন কাজ হতে পারে। নিজের শরীরকে সুস্থ এবং ফিট রাখতে রসগোল্লা, দুধ চমচম এবং পান্তুয়া থেকে কয়েকমাস দূরে থাকা যেন দুঃস্বপ্ন। এই ক্ষেত্রে গুড়, নারকেল চিনি এবং মধু ডায়েটে চিনির বিকল্প হতে পারে ঠিকই কিন্তু এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে যা ওজন কমানোর জায়গায় উল্টে বাড়িয়ে দেয়।
advertisement
ডায়াবেটিস রোগ না থাকলেও যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁদের ক্ষেত্রে সুগার-ফ্রি খুবই উপকার দিতে পারে। যেখান এক কাপ চিনিযুক্ত চায়ে ৩০ থেকে ৩৫ ক্যালোরি থাকে সেখানে সুগার-ফ্রি চায়ে মাত্র ৫-১০ ক্যালোরির উপস্থিতি পাওয়া যায়। এছাড়া, মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য আজকাল সুগার-ফ্রি রসগোল্লাও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - গোটা শরীর ছিপছিপে হলেও, মেদ জমছে পেটে! অজান্তে বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
সুগার-ফ্রি কী দিয়ে তৈরি হয়?
সুগার-ফ্রি ট্যাবলেট বা পাউডার হল চিনির সবচেয়ে সাধারণ বিকল্প যা ডায়াবেটিস রোগীরা ব্যবহার করে থাকেন। এটিকে কৃত্রিম চিনিও বলা হয় এবং এই বিকল্পটি শরীরকে অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি করতে বাধ্য করে না। সুগার-ফ্রি ডেক্সট্রোজ সুইটনার, বাল্কিং এজেন্ট, সুক্র্যালোজ অ্যান্টিকেকিং এজেন্ট এবং সিলিকন ডাই অক্সাইড দিয়ে তৈরি করা হয়। এই সমস্ত উপাদানগুলিতে ক্যালোরি খুব থাকে যার কারণে সুগার-ফ্রিতেও খুব কম ক্যালোরি পাওয়া যায়। এই কারণেই যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁরা সুগার-ফ্রি পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন - ভ্রূপল্লবের ডাক; ঘরোয়া পদ্ধতিতে দ্রুত আইব্রো ঘন করবেন কী ভাবে? রইল সহজ টিপস
যাঁরা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত নন কিন্তু চিনি ছাড়তে চান তাঁদের প্রথমে গুড়, নারকেল চিনি বা মধু ব্যবহার করা উচিত এবং কিছু দিন পর থেকে সুগার-ফ্রি ব্যবহার শুরু করা উচিত। এতে আমাদের শরীর ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনে অভ্যস্ত হবে এবং কোনও রকম ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না। যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁরা সোজাসুজি খাবারে সুগার-ফ্রি ব্যবহার করতে পারেন। চিনির এই বিকল্পের সাধারণত কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া এড়াতে একবার ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো।