মিরাকল ফ্রুট সপ্টিসি (Sapotaceae) ফ্যামিলির অন্তর্গত একটি ফল৷ এই ফলটি দক্ষিণ আফ্রিকার ঘানায় পাওয়া যায়। দেখতে যেন ঠিক আঙুরের মতো৷ ছোট ছোট বেরির মতো ফল৷ তবে এই ফল বিশেষ গুণ সম্পন্ন৷ টকটকে লাল রঙের এই ফলটি ১৯৬৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বের মানুষের গোচরে আসে। এরপর ওষুধ তৈরিতে এই ফলটির ব্যবহার শুরু হয়।
advertisement
কানপুরের ইউএইচএম জেলা হাসপাতালের আয়ুর্বেদাচার্য ডক্টর বিভা বর্মার এই ‘অলৌকিক ফলের’ আশ্চর্য গুণ সম্পর্কে আরও বিশদে জানালেন৷
এই প্রোটিনের কারণে স্বাদ পরিবর্তন হয়
বিজ্ঞানীরা এই ফলের মধ্যে মিরাকুলিন নামের একটি উপাদান খুঁজে পেয়েছেন, যা এক ধরনের গ্লাইকোপ্রোটিন। এটি মুখে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে স্বাদ কোরকে প্রভাব ফেলে। ফলে আমরা খাবারের স্বাদের পার্থক্য অনুভব করি। এর জন্য লেবু এমনকি টক ভিনিগার খেলেও এই ফল খাওয়ার ৬০ মিনিটের মধ্যেই সব কিছুর স্বাদ খুব মিষ্টি হতে শুরু করে। আসলে, এই ফলে উপস্থিত প্রোটিন (Miraculin Protien) আমাদের টেস্ট বাড পরিবর্তন করে৷
কিভাবে টক জিনিস মিষ্টি হয়?
যখনই আমরা টক কিছু খাই, তাতে উপস্থিত pH আমাদের জিভে মিরাকুলিনের মাত্রা বদলে দেয়৷ যে কারণে জিভে মিষ্টি লাগে না। অন্যদিকে পিএইচ লেভেল কম হলে মিষ্টি লাগতে শুরু করে। সাধারণত এটি ঘটে যখন এই প্রোটিন সক্রিয় হয়। মিরাকুলিন প্রোটিন বেশি হলে, যত টক খাই না কেন, স্বাদ মিষ্টি হবে। এই ফলে থাকা মিরাকুলিনই টককে মিষ্টিতে বদলে দেওয়ার মতো আশ্বর্য্য কাণ্ড ঘটায়৷
আরও পড়ুন: দূর হবে তিল হোক বা আঁচিল! ঘরোয়া উপায় বাতলে দিলেন আয়ুর্বেদাচার্য
ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়
এই ফল খাওয়ার পর আপনি প্রায় এক ঘন্টার জন্য সবকিছু মিষ্টি অনুভব করবেন। এটি ডায়েটের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। আফ্রিকার অনেক দেশে এটি ওষুধের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ফলটি নাইজেরিয়ায় ডায়াবেটিস এবং হাঁপানির মতো রোগ নিরাময়েও ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ক্যানসার ও পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসাতেও এই ফলটি ব্যবহার করা হয়।