গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে একাধিক আমড়া গাছ। কেউ গিয়ে গাছ থেকে পেড়ে এনে রান্না কিংবা আচার তৈরি করে। নয়তো গাছের নীচে পড়ে নষ্ট হয় ফলগুলো।
তবে ভেষজ গুণে ভরপুর এই ফল। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা থেকে কোলেস্টেরলের মাত্রার ভারসাম্য রাখা, একাধিক শারীরিক ব্যাধিতে বিশেষভাবে উপযোগী টক মিষ্টি এই ফল। কাঁচা ফল টক বা টক-মিষ্টি হয়। তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি হয়ে যায়৷ ফলের বীজ কাঁটাযুক্ত৷ ৫-৭ বছরেই গাছ ফল দেয়৷ এই ফল কাঁচা ও পাকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়৷
advertisement
এই ফল অগাস্ট মাসে বাজারে আসে আর থাকে অক্টোবর পর্যন্ত৷ তবে এই ফলেই রয়েছে, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সহ নানা জৈব উপাদান। কেউ সবজি আবার কেউ ফল হিসেবে আমড়াকে ব্যবহার করলেও নানা রোগ প্রশমনে জুড়ি মেলা ভার। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়াতে ২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং ওজন কমাতে এই ফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জাতীয় উপাদান থাকায় বার্ধক্য কমাতে সহায়তা করে। রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা ঠিক রাখে আমড়া। প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তাল্পতা দূর করতে এই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে আমড়া।
স্বাভাবিকভাবে শুধুমাত্র মুখে রুচি ফিরিয়ে আনা কিংবা আচার বা চাটনি হিসেবে খাওয়া নয়, এই ফলের গুণাবলী নানান রোগ উপশমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।