নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কী?
ফ্যাটি লিভার আজকাল আমাদের মধ্যে খুবই কম অসুখ হয়ে গেছে। অ্যালকোহল পান করেও যদি ফ্যাটি লিভার হয় সেটাকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি) বলা হয়। NAFLD হল সাধারণ ফ্যাটি লিভারের অসুখ যা থেকে ভবিষ্যতে হেপাটাইটিস , এমনকি লিভার সিরোসিসও হতে পারে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হাইপোথাইরয়েডিজম এর প্রধান কারণ বলে জানা গেছে।
advertisement
ডায়াবেটিক রোগীদের ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ে কেন ?
ডায়াবেটিস ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ। দেখা গেছে যে টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হাই ব্লাড সুগারের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে হাই বি পি এবং হাই কোলেস্টরোলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর কারণেই লিভারে চর্বি জমা হয় এবং ধীরে ধীরে তা হেপাটাইটিস এবং লিভার সিরোসিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
কফির কোন উপাদানগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে?
ফ্রি র্যাডিকালের জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে যা লিভারের ক্ষতির সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয় । এক্ষেত্রে কফি এই ধরণের ক্ষতির হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। তাজা সবুজ শাক, তাজা ফল এবং মাল্টিভিটামিন ঠিক একইভাবে আমাদের লিভারকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরল থেকে রক্ষা করে।
গবেষণায় জানা গেছে পলিফেনল সহ কফির উপাদান লিভারে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, এর ফলে লিভারে ফাইব্রোসিসের ঝুঁকি কমে এবং পাশাপাশি গ্লুকোজ হোমিওস্টেসিসকে উন্নত করে।
ফ্যাটি লিভারের বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। তাই ফ্যাটি লিভার রোধ করতে আমাদের উচিত তার মূল কারণের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা এবং এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আমাদের লাইফস্টাইলে বিশেষ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা। কফি, দুধ, শাকসবজি বা তাজা ফল খাওয়া পরিপূরক হিসাবে কাজ করলেও আপনার রোজকার রুটিনের তালিকায় শরীরচর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরি। কারণ পর্যাপ্ত ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর খাদ্য শরীরে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের সাহায্য করে। তবে পরিমিত পরিমানে কফি লিভারের ক্ষতি এবং প্রদাহ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পরিপূরক হিসাবে কাজ করে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।