মরসুমি ফল এবং শাকসব্জি ছাড়াও ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম দিয়েও পানীয় তৈরি করতে পারেন৷ ড্রাই ফ্রুটসে প্রচুর পুষ্টিমূল্য আছে৷ সার্বিক সুস্থতার জন্য এই পুষ্টিগুণ খুবই প্রয়োজনীয়৷ তবে ড্রাই ফ্রুটস মানেই যে বাজারচলতি দামী খাবার, তা কিন্তু নয়৷ হাতের কাছেও আছে সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণ (Health benefits of anjeer milk or fig milkshake in winter )৷
advertisement
আরও পড়ুন: শৌচাগার ব্যবহারের পর হাত ভাল করে সাবান দিয়ে না ধুলেই অপেক্ষা করে থাকে ভয়ঙ্কর বিপদ
পুষ্টিবিদ শিল্পা অরোরার মতে, ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে বেছে নেওয়াই যায় ডুমুর৷ ডুমুরে আছে সল্যুবল ফাইবার এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস৷ পাশাপাশি আছে আয়রন, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন৷ সঠিক অনুপানে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, সর্দিকাশি, হাঁপানি, মধুমেহ, উচ্চরক্তচাপের মতো সমস্যায় ডুমুর যথাযথ সামাধান৷
আরও পড়ুন: সুস্থতা ও রূপচর্চায় অপরিহার্য ভাতের মাড় ও চাল ভেজানো জল
নানা ভাবে ডুমুর খেতে পারেন৷ ডুমুরের তরকারি তো বাঙালি হেঁসেলে বেশ প্রচলিত৷ তবে এই শীতে অন্যরকমভাবে ডুমুর খান৷ বানিয়ে ফেলুন ডুমুরের মিল্কশেক৷ হাড়কাঁপানো ঠান্ড রাতে ডুমুরের মিল্কশেকের কোনও বিকল্প নেই৷ বাড়িতে মিল্কশেক তৈরিও খুব সহজ৷ এক গ্লাস দুধের জন্য ডুমুরের চারটি দানা নিতে হবে৷ ডুমুরের দানাগুলি রাতভর মিশিয়ে রাখুন৷ গ্রাইন্ডারে ডুমুর পেস্ট করে নিন৷ এ বার দুধ জ্বাল দিতে শুরু করুন৷ আঁচ কমিয়ে জাফরান মিশিয়ে নিন৷ গ্লাসে ডুমুরের পেস্ট দিয়ে তাতে দুধ মিশিয়ে নিন৷ ইচ্ছে হলে গ্লাসের উপরে সাজিয়ে দিন ড্রাই ফ্রুটসের কুচি৷ আপনার ডুমুরের মিল্কশেক তৈরি৷ খেতে হবে গরম গরম৷
আরও পড়ুন: রসুইবাগানের চিরচেনা এই উপকরণের ফেসপ্যাক মাখুন, শীতে স্বল্প খরচেই ঝলমল করবে ত্বক
এ বার দেখে নেওয়া যাক ডুমুর-দুধের গুণাগুণ
ডুমুরে আছে স্বাস্থ্যকর ফাইবার৷ মেটাবলিজম ঠিক রাখতে এই খাদ্যতন্তু কার্যকর৷ তা ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় ডুমুর-দুধ বা অঞ্জীর মিল্ক উপশমকারী৷ শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে এই পানীয় খুবই কার্যকর৷ এই উষ্ণ পানীয়ে অনেক ক্ষণ পেট ভরে থাকার অনুভূতি হয় ৷ ফলে বার বার খিদে পেলে জাঙ্কফুড খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়৷ তাই শীতে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যাও প্রতিহত করে এই পানীয়৷ ডমুরের মিল্কশেকে অনিদ্রা সমস্যা দূর হয়৷ এছাড়া সর্দিকাশি, ফ্লু-এর মতো মরসুমি সংক্রমণও আটকায় এই মিল্কশেক৷