আয়ুর্বেদিক ওষুধ নিয়ে মানুষের আপত্তি: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রাচীন। কিন্তু এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে মানুষ আজও সন্দিহান। সবচেয়ে আপত্তির বিষয় হল, আয়ুর্বেদে রোগ সারতে সময় লাগে। চিকিৎসা শুরুর পর লক্ষণগুলো দেখা দিতে বিলম্ব হয়। অনেকে আবার মনে করেন, নিয়মিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। এতে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয় বলেও সন্দেহ করেন অনেকে। এমনটাই জানাচ্ছেন, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অক্ষতা পণ্ডিত।
advertisement
আরও পড়ুন: কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে চুল ধুয়েছিলেন এই মহিলা, তারপর যা হল ভাবতে পারবেন না!
আয়ুর্বেদিক ওষুধে কি সত্যি কিডনির সমস্যা হয়: অক্ষতা পণ্ডিত খুব সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় এসম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। ভুল পদ্ধতি, ভুল ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ ব্যবহার বা খুব সস্তা ভস্ম বা ধাতু ব্যবহার করলে তা কিডনিতে জমা হতে পারে। অক্ষতা বলছেন, ‘আয়ুর্বেদে যে কোনও ধাতু, তা পারদই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং ওষুধে ব্যবহৃত হয়’।
আরও পড়ুন: পুঁটি মাছ খেতে ভালবাসেন? ছোট নাকি বড়, কোন মাছে বেশি উপকার? রহস্য ফাঁস করলেন চিকিৎসক
কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই: আয়ুর্বেদে অনেক ওষুধে পারদ ব্যবহার করা হয়। গাছগাছড়া, শিকড়বাকড়ও। সেগুলি পেশাই করা হয়। এসব পরিমাপের জন্যে আয়ুর্বেদে অনেক প্যারামিটার রয়েছে। এতে পারদের দোষ কেটে যায়। আয়ুর্বেদে অনেক পাউডারও ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সে সবও পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়। যেমন, আঙুলের রেখায় পাউডার আটকে থাকার অর্থ হল এটা কিডনিতে জমা হবে না।
অক্ষতা বলছেন, ভাল মনের ধাতব ছাই ব্যবহার করা হলে কিডনিতে জমা হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আর স্টেরয়েড? বিশুদ্ধ আয়ুর্বেদে কোনও দিন স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয় না। অতএব আয়ুর্বেদিক ওষুধ গ্রহণে কোনও সমস্যা নেই। অক্ষতার কথায়, ‘এটা নির্ভরযোগ্য, পাশাপাশি কার্যকর’।