ঘরে পাতা দই, ঘোল, বাটারমিল্কের মতো খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। রাজস্থানের নাগরীর বাসস্ট্যান্ডে রামচন্দ্র প্রজাপত বাটারমিল্ক ও রাবড়ি বিক্রি করেন। তিনি জানান, এখানে প্রতিদিন দুপুর পর্যন্ত গ্রাম থেকে ৬০ থেকে ৭০ লিটার বাটারমিল্ক ও রাবড়ি আসে। সবই বিক্রি হয়ে যায়।
রামচন্দ্র বলেন প্রবল গ্রীষ্মে এই সব পানীয় খুবই উপকারি। সকলেই নিতে চান। দুপুরের মধ্যে দোকান ফাঁকা হয়ে যায়। এই কাজে রামচন্দ্রকে সাহায্য করেন তাঁর স্ত্রীও। নিজেদের বাড়িতে কাঠের উনুনে তিনি রাবড়ি তৈরি করে ঠান্ডা করে বাটারমিল্ক মিশিয়ে বিক্রির জন্য পাঠান। কিন্তু চাহিদা এতই বেড়ে গিয়েছে যে একা নিজে তৈরি করে সামাল দিতে পারছেন না রামচন্দ্র। তাই গ্রাম থেকে বাটার মিল্ক আনাতে হচ্ছে।
advertisement
এই রাবড়ি রাজস্থানে বাড়িতে তৈরি একটি রেসিপি। কিন্তু নতুন প্রজন্ম ক্রমশ ভুলতে বসেছে এই স্বাদ। আসলে বাঙালি যে রাবড়ির সঙ্গে পরিচিত, এটি তার থেকে কিছুটা আলাদা। প্রবল গরমে রাজস্থানের ঘরে ঘরে তৈরি করা হয় এই রাবড়ি, আজও সেই প্রচলন রয়েছে। রামচন্দ্র প্রজাপত বলেন যে তিনি রাবড়ি এবং বাটার মিল্ক প্রতি লিটার ২৫ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন। ভুলতে বসা স্বাদই আবার নতুন করে জনপ্রিয় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আসছে বর্ষাকাল, সুস্থ থাকতে কী খাবেন? জেনে নিন ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে
রাজস্থানি রাবড়ি বানানোর পদ্ধতি—
একটি মাটির পাত্রে বাটার মিল্ক ও বাজরার আটা ভাল করে মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করতে হবে। এই দ্রবণটি তিন থেকে চার ঘণ্টা রোদে রেখে দেন রাজস্থানি মহিলারা। পরে দ্রবণযুক্ত মাটির পাত্রটি কাঠের বা গ্যাসে উনুনে অল্প আঁচে রেখে গরম করতে হবে। এর মধ্যে ধীরে ধীরে লবণ এবং জিরা মিশিয়ে দিতে হবে। যতক্ষণ না ঘন হয়ে উঠছে ততক্ষণ ক্রমাগত নাড়তে হবে। দ্রবণটি ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। খানিকক্ষণ রাখলেই রাবড়ি তৈরি।
রাবড়ি বেশি টক হয়ে গেলে তাতে ঠাণ্ডা জল মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। আবার রাবড়ি বেশি টক না হলে তাতে সামান্য দই মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।