এই জায়গায় এসে সবার প্রথমে একটা বিষয় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ না করলেই নয়। অধ্যাপক নাথান কিন্তু এই অসুখগুলির নেপথ্যে শৈশবের অ্যান্টিবায়োটিক কোর্সকে কারণ হিসেবে দায়ী করছেন না। তিনি শুধু বলছেন যে এই দুইয়ের মধ্যে একটা পারস্পরিক যোগসূত্র উঠে এসেছে তাঁর দ্বারা পরিচালিত সমীক্ষায়।
রোশস্টার এপিডেমিওলজি প্রোজেক্টের অন্তর্গত ১৪ হাজার ৫০০ শিশুকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলা এই সমীক্ষা বলছে যে যদি কোনও শিশু অ্যান্টিবায়োটিকের একটা বা দু'টো ডোজ নিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে তার ভবিষ্যতে অ্যাজমা বা সেলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিন থেকে চার ডোজ নিলে অ্যাজমা, অ্যাটোপিক ডারমাইটিজ এবং ওবেসিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাঁচ বা ততোধিক ডোজ নিলে উপরে উল্লেখ করা সবক'টি রোগই ভবিষ্যতে বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। অধ্যাপক নাথান জানিয়েছেন যে মূলত পেনিসিলিন এবং সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবেই সমীক্ষাধীন ৭০ শতাংশ শিশুর মধ্যে এ সব রোগের লক্ষণ দেখা গিয়েছে।
advertisement
কেন এমনটা হচ্ছে, সমীক্ষাপত্রে সে ব্যাপারটাও বিশ্লেষণ করতে ভোলেননি অধ্যাপক নাথান। তিনি বলছেন যে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ হল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা। কিন্তু এই লক্ষ্যে সে শরীরের পক্ষে উপকারী-অপকারী ব্যাকটেরিয়ায় প্রভেদ বুঝতে পারে না। পরিণামে তারা শরীরের পক্ষে উপকারী গাট ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে যা শরীরের রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতাকে সক্রিয় রাখে!