TRENDING:

আপনার একরত্তি সন্তানকে কি এই সব অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন চিকিৎসক? ভবিষ্যত হতে চলেছে ভয়ঙ্কর...

Last Updated:

অ্যাজমা, একজিমা, হে ফিভার, ফুড অ্যালার্জি, সেলিয়াক ডিজিজ, ওবেসিটি, হাইপার-অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার! অর্থাৎ শারীরিক দিক থেকে তো বটেই, পাশাপাশি আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যটিকেও বিপদে ফেলতে পারে একেবারে কম বয়সে দেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: অ্যাজমা, একজিমা, হে ফিভার, ফুড অ্যালার্জি, সেলিয়াক ডিজিজ, ওবেসিটি, হাইপার-অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার! অর্থাৎ শারীরিক দিক থেকে তো বটেই, পাশাপাশি আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যটিকেও বিপদে ফেলতে পারে একেবারে কম বয়সে দেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক। সম্প্রতি যে কথা দাবি করা হয়েছে ইউনাইটেড নেশনস-এর অন্তর্গত মেয়ো ক্লিনিক সেন্টারের দ্বারা প্রকাশিত মেয়ো ক্লিনিক প্রসিডিংস-এ। এ হেন সমীক্ষাপত্রটির মূল লেখক যিনি, সেই অধ্যাপক তথা চিকিৎসক নাথান লেব্রাশার প্রকাশ্যে এনেছেন এই আতঙ্কজনক তথ্যটি। তাঁর দাবি, দুই বছর বা তার চেয়ে কম বয়সে যদি কোনও শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করানো হয়ে থাকে চিকিৎসকের পরামর্শমতো, তা হলে ভবিষ্যতে সে একেবারে প্রথমে উল্লিখিত অসুখগুলির শিকার হতে পারে!
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।
advertisement

এই জায়গায় এসে সবার প্রথমে একটা বিষয় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ না করলেই নয়। অধ্যাপক নাথান কিন্তু এই অসুখগুলির নেপথ্যে শৈশবের অ্যান্টিবায়োটিক কোর্সকে কারণ হিসেবে দায়ী করছেন না। তিনি শুধু বলছেন যে এই দুইয়ের মধ্যে একটা পারস্পরিক যোগসূত্র উঠে এসেছে তাঁর দ্বারা পরিচালিত সমীক্ষায়।

রোশস্টার এপিডেমিওলজি প্রোজেক্টের অন্তর্গত ১৪ হাজার ৫০০ শিশুকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলা এই সমীক্ষা বলছে যে যদি কোনও শিশু অ্যান্টিবায়োটিকের একটা বা দু'টো ডোজ নিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে তার ভবিষ্যতে অ্যাজমা বা সেলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিন থেকে চার ডোজ নিলে অ্যাজমা, অ্যাটোপিক ডারমাইটিজ এবং ওবেসিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাঁচ বা ততোধিক ডোজ নিলে উপরে উল্লেখ করা সবক'টি রোগই ভবিষ্যতে বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। অধ্যাপক নাথান জানিয়েছেন যে মূলত পেনিসিলিন এবং সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবেই সমীক্ষাধীন ৭০ শতাংশ শিশুর মধ্যে এ সব রোগের লক্ষণ দেখা গিয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

কেন এমনটা হচ্ছে, সমীক্ষাপত্রে সে ব্যাপারটাও বিশ্লেষণ করতে ভোলেননি অধ্যাপক নাথান। তিনি বলছেন যে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ হল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা। কিন্তু এই লক্ষ্যে সে শরীরের পক্ষে উপকারী-অপকারী ব্যাকটেরিয়ায় প্রভেদ বুঝতে পারে না। পরিণামে তারা শরীরের পক্ষে উপকারী গাট ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে যা শরীরের রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতাকে সক্রিয় রাখে!

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
আপনার একরত্তি সন্তানকে কি এই সব অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন চিকিৎসক? ভবিষ্যত হতে চলেছে ভয়ঙ্কর...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল