থাইয়েডের রোগীদের নিম্নোক্ত উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে:
ক্লান্তি
ঠান্ডা লাগা
কোষ্ঠকাঠিন্য
মুখে ফোলা ভাব এবং রুক্ষ ত্বক
কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
গাঁটে ব্যথা
মানসিক বিষাদ এবং স্মৃতিভ্রংশ
থাইরয়েডের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য ডায়েটে যোগ করতে হবে এই পাঁচ নিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ খাবার। এমনটাই মনে করছেন এডুইনা রাজ।
বীজ জাতীয় খাবার এবং বাদাম:
advertisement
ব্রেজিল নাটে রয়েছে সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক। আর এই দুই উপাদান থাইরয়েডের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি চিয়া এবং কুমড়ো বীজও জিঙ্কের দারুন উৎস। ফলে স্ন্যাকস হিসেবে এগুলো খাওয়া যেতে পারে। থাইরয়েডের রোগীদের মাঝেমধ্যেই খিদে পায়, ফলে তারা ভুলভাল খাবার খেয়ে ফেলেন। এই অভ্যেসের বদলে বরং ডায়েটে রাখতে হবে বীজ এবং বাদাম জাতীয় খাবার।
আরও পড়ুন: খাওয়ার পরেই প্রস্রাব পায়? সাবধান! হতে পারে বড় অসুখের ইঙ্গিত
বিনস এবং লেগিউমস:
এই ধরনের খাদ্যোপাদানের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যা মেটাবলিজমের উন্নতিতে সহায়ক। সেই সঙ্গে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। ফলে বারবার খিদে পায় না। আর ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ডিম:
থাইরয়েডের রোগীদের মধ্যে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা গোটা ডিম খেতে পারেন। কারণ ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম আমাদের শরীরের জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। যা ওজন কমাতে এবং হাড় মজবুত করতে সহায়ক।
সবজি:
টম্যাটো এবং বেলপেপার বা ক্যাপসিকামের মতো সবজি থাইরয়েড রোগীদের বেশি করে খাওয়া উচিত। এগুলি ওজন কমায়। কারণ এর মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
আরও পড়ুন: প্রেগন্যান্সির আদর্শ বয়স রয়েছে? রইল আয়ুর্বেদিক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
জল এবং নন-ক্যাফিনেটেড পানীয়:
জল পানের পরিমাণ বাড়তে হবে। এতে পেটের ফোলা-ভাব কমে, শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় এবং হরমোনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটা ওজন কমাতেও সহায়ক।
