লিভার শরীরে যে কাজগুলি করে-
বিলিরুবিন, কোলেস্টেরল, হরমোন এবং ওষুধের রাসায়নিক বের করে দেয়
পিত্ত তৈরি এবং মলত্যাগে সহায়তা
চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের বিপাক
গ্লাইকোজেন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সঞ্চয়
প্লাজমা প্রোটিনের সংশ্লেষণ, যেমন অ্যালবুমিন
রক্ত বিশুদ্ধকরণ
ফ্যাটি লিভার কাকে বলে?
নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (NAFLD) যকৃৎ বা লিভারে চর্বি জমে হতে পারে। প্রথমে কোনও লক্ষণ দেখা না গেলেও পরে খিদে ও ওজন কমে যাওয়া, দুর্বলতা, পেটে ব্যথা, লিভার বৃদ্ধির মতো লক্ষণগুলি দেখা দেয়।অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা, ইনসুলিন প্রতিরোধ, প্রিডায়াবেটিস বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস, রক্তে বেশি মাত্রার চর্বি, বিশেষ করে ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদি ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
advertisement
যে যে কারণে হতে পারে ফ্যাটি লিভার-
১) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
প্রচুর চিনি, কৃত্রিম ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এগুলো লিভারের ক্ষতি করে। বিশেষ করে প্যাকেটজাত ফল, জুস ইত্যাদি একদমই ভাল নয়।
২) অতি মাত্রায় ধূমপান ও মদ্যপান
অতিমাত্রায় ধূমপান ও মদ্যপান লিভারের ক্ষতি করে। কারণ এটি লিভারের কোষ নষ্ট ও অকেজো করে দেয়।
৩) অতিরিক্ত ওজন
স্থূলতা ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ। এমনিতে লিভারে ৫% বেশি চর্বি থাকা উচিত নয়।তার বেশি চর্বি থাকলেই সেটা ফ্যাটি লিভার হয়।
আরও পড়ুন: বাইরে থেকে কিনবেন কেন? চটজলদি প্রেশার কুকারেই বানিয়ে নিন নরম তুলতুলে পাউরুটি
ফ্যাটি লিভার হলে কী করতে হবে?
বাড়িতে রান্না করা খাবার খেতে হবে।
প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে।
বেরি, অ্যাভোকাডো, পিচ, তেঁতুল, ডালিম এবং পেঁপে খেতে হবে।
রাগি, জোয়ার, কিনোয়ার মতো দানাশস্য খেতে হবে।
প্রাণিজ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিতে হবে।
অন্তত ৫০ মিনিট দিনে পাঁচ বার অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করতে হবে।
মাঝে মাঝে উপোস করতে হবে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রতটে লাস্যময়ী নুসরত, তাঁর ট্রিপ থেকে সুপার হট লুকে ক্লিনবোল্ড নেটিজেনরা
লিভারের জন্য যেগুলো ভালো-
গাজর, সিলেরি ও পালংশাকের জুস
আমলকী
অ্যাপল সিডার ভিনিগার
হলুদ
ফ্ল্যাক্সসিড, আখরোট ও অ্যাভোকাডো
পাতাওয়ালা সবজি ও বেরি
গ্রিন টি
পেঁপে ও আনারস
ফ্লুরাইড মুক্ত জল