উত্তর-পূর্ব ভারতের আদিবাসীরা আমিষ এবং নিরামিষ, দুধরনের খাবারই পছন্দ করেন। মূল কথা হল, যেটা সহজে পাওয়া যায়, সেটাই জায়গা পায় থালায়। তবে এই ভূখণ্ডের মানুষের অধিকাংশই নিরামিষাশী।
এখানকার খাবারও মশলাদার। আর হ্যাঁ, ঝালও খুব। উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের নিজস্ব খাদ্য সংস্কৃতি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু খাবার অনেকের কাছেই অদ্ভুত মনে হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিটের উপর বর্তমানে কোন ব্যাঙ্ক সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে? সবিস্তার জানতে পড়ুন!
উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য অসম। এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকাও বেশ লম্বা। এর মধ্যে অন্যতম এই ইরি পুলু বা রেশম কীট। মাথায় রাখতে হবে, এই রেশম কীট থেকেই তৈরি হয় ঐতিহ্যবাহী সিল্ক এবং একই সঙ্গে খাবারও।
সিল্কওয়ার্ম পিউপা প্রোটিন, চর্বি, খনিজ, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। সাধারণ খাবারের তুলনায়, এতে তিনটি ক্যালোরিকোজেনিক পুষ্টির (প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট) বেশি পরিমাণ রয়েছে, যা প্রতি ১০০ গ্রাম প্রতি ২৩০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত সরবরাহ করে।
কীট থেকে রেশম আহরণের পর তার ঠাঁই হয় কড়ায়। নুন বা আদা-রসুন এবং লঙ্কা দিয়ে ভাজলেই তৈরি হয়ে যায় ইরি পুলু। রোহু অর্থাৎ রাইস বিয়ারের সঙ্গে ইরি পুলুর মতো উপভোগ্য না কি আর কিছু হয় না। বিহু, রঙ্গোলি, বোহাগ এবং অন্যান্য উৎসবে এই খাবার পরিবেশন করা হয়। অসমের অনেক জায়গায় আবার এটাকে চাটনির মতো রান্না করা হয়। রেশম কীটের সঙ্গে দেওয়া হয় রসুন, টম্যাটো এবং কোল ক্ষার (কলার খোসা থাকে প্রাপ্ত একটি জৈব ক্ষার)।
বাড়িতে ইরি পুলু রান্না: একটা পাত্রে জল গরম করে তাতে দিতে হবে ইরি পুলু নেস্ট এবং এক চা চামচ সোডা। জল ফুটে গেলে ইরি পুলু তুলে নিতে হবে। এবার প্যানে সামান্য সরষের তেল গরম করে ভাজতে হবে কাটা পেঁয়াজ। স্বাদ মতো দিতে হবে নুন এবং হলুদ। সঙ্গে আদা এবং রসুনের পেস্ট। এবার আলু এবং কুমড়ো কিউব করে কেটে ভেজে নিতে হবে। এবার গরম জলে ছাড়তে হবে আলু, কুমড়ো এবং ইরি পুলু। ব্যস তৈরি হয়ে গেল অসমের ঐতিহ্যবাহী ডিশ!