কাঁচা হলুদের হালুয়া কি সত্যিই উপকারী?
হলুদ ক্ষত নিরাময়ে, শরীর ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং এর মধ্যে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে এর মধ্যে কারকিউমিন নামক একটি সক্রিয় যৌগের উপস্থিতির কারণে। এছাড়াও, ঘি সহ প্রোটিন সমৃদ্ধ বাদাম, পেস্তা এবং ফক্স নাট যোগ করা এই দেশী হালুয়া শীতের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। তদুপরি, ফক্স নাট যা মাখনা নামেও পরিচিত সেটি হল ক্যালসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস এবং এই হালুয়াতে বেসনের ব্যবহার হালুয়াতে আরও বেশি করে প্রোটিনের পরিমাণ যোগ করতেও সহায়তা করে। সবশেষে, ঘি যোগ করা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং জয়েন্টগুলোকে লুব্রিকেট করে এবং জয়েন্ট নমনীয় করে সেই সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।
advertisement
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে অতিমারি ধ্বস্ত শীতে প্রচুর কুল খান
রেসিপি
এই হালুয়া তৈরি করতে, একটি প্যানে ২ টেবিল চামচ ঘি গরম করে ২ কাপ মাখনা বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভেজে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
২৫০ গ্রাম কাঁচা হলুদ ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল/নিয়মিত জল দিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: একবার করোনা হওয়ার পর কি ওমিক্রনে ফের আক্রান্ত হতে পারেন? জানুন
এরপর, একটি প্যানে ৩ টেবিল চামচ ঘি গলিয়ে হলুদের পেস্ট দিয়ে মাঝারি আঁচে নাড়তে হবে। কাঁচা হলুদ ঘি শুষে নেবে। আঁচ কমিয়ে গুঁড়ো ফক্সনাট দিতে হবে। আরেকটি প্যানে ১ চা চামচ ঘি, জাফরান, এলাচ, লবঙ্গ ছড়িয়ে দিতে হবে। সিরাপ তৈরি করতে ৩০০ গ্রাম গুড়ের সাথে জল দিয়ে নাড়তে হবে। একটি প্যানে ১-২ টেবিল চামচ ঘি, ১ কাপ বেসন দিয়ে নাড়তে হবে। অন্য প্যান থেকে হলুদ ও ফক্স নাটের মিশ্রণটি যোগ করে নাড়তে হবে এবং গুড়ের শরবত দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। গুঁড়ো করা বাদাম দিয়ে দিতে হবে। হালুয়া সেদ্ধ হয়ে গেলে ১ চা চামচ ঘি যোগ দিতে হবে।
কতটা খাওয়া যেতে পারে?
দুই টেবিল চামচের বেশি এই হালুয়া খাওয়া ঠিক নয়। যদি কেউ শিশুদের স্তন্যদান করে তবে তাঁর এই হালুয়া কম খাওয়া উচিত।