শিশুরা প্রায়ই শীতকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে, প্রাপ্তবয়স্করাও। বহু যুগ ধরেই মানুষ এই পানীয়ের সাহায্য নিয়েছেন। এখনও যদি এটা পান করা শুরু না হয়, তাহলে দেরি না করে এখনই শুরু করে দেওয়া যায়।
হলুদ দুধ হল দুধ এবং হলুদের গুঁড়ো। এটি বেশিরভাগই একটি উষ্ণ সংমিশ্রণ। যা শরীরকে গরম রাখে।
advertisement
সাধারণত গরম দুধে ভরা গ্লাসে এক চিমটি হলুদ যোগ করা হয়, মানুষ ধীরে ধীরে এর একাধিক পরিবর্তন দেখতে পান। তবে আরও বেশী সুস্বাদু করতে হলে বেশ কিছু জিনিস মেশানো হয় এতে। আপনি দুধে এলাচের বীজ, কালো গোলমরিচের গুঁড়ো বা লবঙ্গ যোগ করতে পারেন। যাঁরা দুধ হলুদের গন্ধ পছন্দ করেন না, তাঁদের জন্যই এই মশলা।
আরও পড়ুন : রাতে নিয়মিত ঘুম না হলে মেয়েদের শরীরে বাসা বাঁধে ভয়ঙ্কর রোগ! মুক্তি পান এই সহজ উপায়ে
এই পানীয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
- হলুদে কার্কিউমিন নামক একটি যৌগ রয়েছে যা প্রদাহবিরোধী এবং আমাদের শরীরকে সাধারণ ফ্লু এবং ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করে। ঋতুজনিত ফ্লু, সর্দি, কাশি ইত্যাদিতে এই গোল্ডেন মিল্ক কাজে দেয়। এছাড়াও এই জাতীয় অসুখ থেকে চটজলদি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
- হলুদ দুধের হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এইভাবে হৃদরোগ এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি কমায়।
- এটি ত্বকের জন্য চমৎকার এবং হাড়ের জন্যও একটি চমৎকার পানীয়।
- এটি হজমে সাহায্য করে। যাদের দুধ খাওয়ায় সমস্যা তারা ঘরে তৈরি হালদি দুধ চেষ্টা করতে পারেন। গরম গরম এটি খাওয়া উচিত। এই ধরণের মানুষের সবসময় দোকান থেকে কেনা হলুদ দুধ এড়িয়ে চলা উচিত।
- হলুদ দুধ মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে উদ্দীপিত করে। বেশ কিছু গবেষণায় মস্তিষ্কের যৌগের উপর কার্কিউমিনের প্রভাব পাওয়া গেছে। কারকিউমিন মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF) এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। BDNF মস্তিষ্ককে নতুন সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
- কিছু গবেষণা গবেষণায় কারকিউমিনকে এন্টিডিপ্রেসেন্টস হিসাবেও দেখা গেছে।
আরও পড়ুন : স্কুল না কলেজ? সঙ্গমের বিষয়ে জানার সঠিক বয়স কোনটি?
কখন খাবেন এই জাদু পানীয়?
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগে হলুদ দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস উষ্ণ হলুদ দুধ (Turmeric Milk) রাতে ভালো ঘুম নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
যদি আপনি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হন বা দুধ খেতে পছন্দ না করেন তবে আপনি এটি বাটারমিল্কের সঙ্গেও খেতে পারেন।
(এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)