আরও পড়ুন- এসি, কুলারের প্রয়োজন নেই, রইল অতিরিক্ত গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার ৯ প্রাকৃতিক উপায়!
তেল এবং সিরাম: চুলে প্রতিদিন নিয়ম করে তেল এবং সিরাম ব্যবহার করতে হবে। এটা চুলকে সমস্ত রকম ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে। স্নানের আগে বা পরে সিরাম ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে চুলের জন্য কোনটা লাগসই সেটা বেছে নিতে হবে।
advertisement
চুল পরিষ্কার রাখতে হবে: গ্রীষ্মে রোদ আর ঘামে সহজেই চুলের বারোটা বেজে যায়। এজন্য চুল পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। সপ্তাহে অন্তত ২ বার শ্যাম্পু করতে হবে। তবে হ্যাঁ, এর বেশি নয়। কারণ অত্যধিক শ্যাম্পু করলে চুল শুকিয়ে যেতে পারে।
কন্ডিশনার প্রতিদিন: চুলে যত্নে প্রতিদিন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। অল্প পরিমাণ কন্ডিশনার নিয়ে চুলের মাঝখান থেকে লাগানো শুরু করে যেতে হবে নীচের দিকে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্রতিটা স্ট্যান্ড পয়েন্টে ময়শ্চারাইজারের প্রলেপ পরে।
ধুতে হবে: কন্ডিশনার লাগানোর পর ঠান্ডা জলে চুল ধুয়ে ফেলা উচিত। এটা চুল আর ধুলোবালির মাঝে দেওয়ালের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। তাই কন্ডিশনার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
আলতো হাতে আঁচড়াতে হবে: স্নান সেরে বেরনোর পর আলতো হাতে চুল আঁচড়ানো উচিত। এ জন্য ব্রাশ নয়, চিরুনি ব্যবহার করাই উপযুক্ত। চুল ভেজা অবস্থায় আলতো করে আঁচড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়, তারপর শুকিয়ে গেলে ব্রাশ ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন- নিজের কন্যাকে ধর্ষণ ও হুমকি, বাবার অত্যাচারের ভিডিও করে পুলিশের দ্বারস্থ মেয়ে!
সিল্কের বালিশ: সুতি আর্দ্রতা শোষণ করে। তাই সুতির বালিশ হলে চুলের প্রয়োজনীয় তেল শুষে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিল্কের বালিশে সেই ভয় নেই। তাছাড়া এতে চুলের সঙ্গে ঘর্ষণ কমবে। ফলে চুলের ডগা কম ভাঙবে।
নিয়মিত ট্রিম: চুলের ডগা ভেঙে যাওয়া সাধারণ সমস্যা। এ থেকে বাঁচতে নিয়মিত ট্রিম করতে হবে। প্রতি ৬ সপ্তাহ অন্তর একবার ট্রিমিংয়ের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘরোয়া হেয়ার প্যাক: ত্বকের মতো চুলেরও নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন। এজন্য হেয়ার প্যাক সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। তবে বেশি খরচের দরকার নেই। ঘরোয়া উপাদান দিয়েই চুলের জন্য চমৎকার হেয়ার প্যাক তৈরি করে নেওয়া যায়।
সবচেয়ে ভালো জৈব ও প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহার করতে হবে। তবেই চুল ভালো থাকবে। এটা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর এবং চুলের জন্য পুষ্টিকর।