আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি। চালের জল পুষ্টি উপাদানে ঠাসা। এটা চুলকে স্বাস্থ্যকর, বাউন্সি, ঘন এবং মসৃণ রাখে। তবে চুলের যত্নে চাল ধোয়া জলের ব্যবহার কিন্তু নতুন নয়। প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে, বিশেষ করে এশিয়ায়। এতে খনিজ, ভিটামিন বি, সি এবং ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফলিক অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত চাল ধোয়া জলের ব্যবহার চুলকে উল্লেখযোগ্যভাবে লম্বা, ঘন এবং মজবুত করে।
advertisement
বাড়িতেই রাইস ওয়াটার তৈরির পদ্ধতি: ভাত বসানোর আগে চাল বারবার ধোয়া হয়। আদতে এটাই চাল ধোয়া জল। এক কাপ চাল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সেই জলটা রাখতে হবে যতক্ষণ না সাদা, ঘন এবং ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এবার ছাঁকনি দিয়ে চাল আলাদা করে নিয়ে জলটা বোতলে ভরে রেখে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন - Monsoon Skin Care Tips: বর্ষায় ত্বকের সংক্রমণ গুরুতর সমস্যা কি না বুঝবেন কীভাবে?
চাল ধোয়া জল ব্যবহারের উপকারিতা:
স্বাস্থ্যকর চুল
চালের জলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এটা মাথার ত্বক ভাল রাখে। এতে উপস্থিত নিয়াসিন লোমকূপকে পরিষ্কার করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে চুল স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন - Surya Gochar: সূর্যের গোচরে ১৫ দিনে ভোলবদল, তিন রাশির জাতক-জাতিকার কপাল খুলবে
চকচকে চুল
নিস্তেজ এবং জট পড়া চুলের জন্য চাল ধোয়া জল দুর্দান্ত। প্রতিদিন হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার কিংবা দূষণের জন্য চুল নিস্তেজ হয়ে যায়। স্বাভাবিক উজ্জ্বল চেহারা হারায়। চাল ধোয়া জল চুলকে হাইড্রেট করে। চুলের ডগা ভাঙা রোধ করে এবং চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
চুলের বৃদ্ধি
চালের জল মজবুত ও ঘন চুল পেতে সাহায্য করে। নিয়াসিন, ফলিক অ্যাসিড চুলের কোষকে মজবুত করে। ফলে চুল মজবুত ও ঘন হয় কারণ এটি চুলের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং মাথার ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এছাড়া চালের জলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
চুলের ভেঙে যাওয়া আটকায়
চালের জল চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু এটি হেয়ার রিজেনারেটর হিসেবে কাজ করে তাই চুল ভেঙে যাওয়া এবং বাহ্যিক ক্ষতি থেকে বাঁচায়। ভিটামিন বি, সি এবং ই চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর করে। এছাড়াও এটা চুলের ফলিকলগুলিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে, তাই চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গঠন নরম ও মসৃণ হয়।