কারণ খুব শুষ্ক চুলে প্রথমত বাজারচলতি কন্ডিশনার কাজে আসে না। দ্বিতীয়ত কিছু কন্ডিশনারে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে যা চুলে আর্দ্রতা ও পেলব ভাব আনার পরিবর্তে চুলের আরও ক্ষতি করে। এমত অবস্থায় সবচেয়ে সহজ সমাধান হল বাড়িতেই কন্ডিশনার তৈরি করে নেওয়া।
advertisement
বাড়িতে কন্ডিশনারের মতো প্রসাধনী তৈরি করা কঠিন বিষয় কিন্তু একেবারেই নয়। বাড়িতে সহজে পাওয়া যায় এমন কিছু উপাদান দিয়ে কন্ডিশনার তৈরি করে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রেই ঠিক যেন মন্ত্রের মতো কাজ করে নারকেলের দুধ (Coconut Milk)।
যে যে উপাদান লাগবে
১. ৪ টেবিল চামচ নারকেল তেল
২. ১ টেবিল চামচ জোজোবা তেল
৩. ১ টেবিল চামচ আরগান তেল
৪. ৫ ফোঁটা ল্যাভেনডার এসেনসিয়াল তেল
৫. ৫ ফোঁটা পিপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল
৬. ৫ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ
৭. কী ভাবে তৈরি করতে হবে
সবগুলো উপাদান অর্থাৎ তেলগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে নারকেলের দুধও দিতে হবে। এই মিশ্রণ কোনও কাচের বোতলে বা স্প্রে বোতলে রাখতে হবে। যখনই চুলে শ্যাম্পু দেওয়া হবে এই লিভ ইন কন্ডিশনার চুলে স্প্রে করে নিতে হবে। নারকেলের দুধ কন্ডিশনারের মূল উপাদান হিসাবে ব্যবহার করার কারণ হল এতে প্রচুর পরিমাণে লোরিক অ্যাসিড আছে। এই অ্যাসিড চুলের কিউটিকলকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও এতে আছে প্রোটিন যা চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় কাজে আসে। নারকেলের তেলেও একইভাবে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় তা চুলের জন্য কার্যকরী হয়। বিশুদ্ধ নারকেল তেল রাসায়নিক মুক্ত হয়, ফলে ক্ষতি কম হয়।
আরও পড়ুন-৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা আয় এই ব্যবসায়; সরকারের তরফেও মিলবে ভর্তুকি!
এই মিশ্রণ বেশ কিছু দিন ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে এক সপ্তাহের মধ্যে যেন এই কন্ডিশনার ব্যবহার করে নেওয়া যায়। তার বেশি ফেলে রাখলে নারকেলের দুধ ফারমেন্টেড হয়ে গ্যাঁজলা উঠে যেতে পারে। এই কন্ডিশনার নিয়মিত ব্যবহার করলে আর শুষ্ক চুলের সমস্যা থাকবে না।