এমনিতে গুজরাতের জামনগর পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। দারুণ সব নৈসর্গিক দৃশ্য, ধর্মীয় স্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই শহর। এখানেই শেষ নয়, খানাপিনার জন্যও দারুণ জনপ্রিয় জামনগর। এখানে পাওয়া যায় ভারতীয় খাবারের লোভনীয় সব পদ। ফলে খাদ্যরসিকদের জন্য তা রীতিমতো স্বর্গ! আর জামনগরে স্থানীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে গেলে যেতেই হবে জনপ্রিয় এই জায়গাগুলিতে।
advertisement
আতিথ্য:
পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাতে এখানে আসা যেতেই পারে। এখানকার অন্দরসজ্জাও অসাধারণ। আতিথেয়তার কথা তো আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না! এখানে পাওয়া যাবে সেভ টম্যাটো, সুখি ভাজি, ভেজ মালভা কারি এবং ভিন্ডি কারির মতো জিভে জল আনা খাবার।
রাজভোগ রেস্তোরাঁ:
গুজরাতি স্বাদ উপভোগ করতে গেলে যেতেই হবে রাজভোগ রেস্তোরাঁয়। হলুদ আর বাদামীর মিশেলে যেন গোটা রেস্তোরাঁয় লেগে রয়েছে মাটির ছোঁয়া। এখানকার লোভনীয় খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম হল শ্রীখণ্ড গুলাব জামুন, গ্রিন ভেজিটেবল সবজি, গুজরাতি থালি এবং কাঠোর।
অন্নপূর্ণা রেস্তোরাঁ:
ছিমছাম অন্দরসজ্জা রয়েছে এই রেস্তোরাঁয়। আর এখানকার খাবারের স্বাদের কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। এই রেস্তোরাঁয় এলে উপভোগ করা যাবে বাটারমিল্ক, সফট পরাঠা, ভাঘারেলো রোতোলো, শ্রীখণ্ড এবং আরও নানা কিছু। টেক-অ্যাওয়ের বিকল্পও রয়েছে।
কিচেন এজ ইটারি:
এই মাল্টি-ক্যুইজিন রেস্তোরাঁয় মিলবে গুজরাতি ঘরোয়া খাবারও। আর শান্ত পরিবেশ যেন আরও সকলকে আকৃষ্ট করে। এখানে মিলবে মেদু বড়া, পোডি ইডলি, ভেজ ঝালফ্রেজি, ভেজ কোলহাপুরি এবং বাটার মাইসোর দোসার মতো লোভনীয় নানা পদ।
দার্জিলিং রেস্তোরাঁ:
দুর্দান্ত স্বাদের খাবার খেতে গেলে আসতেই হবে এই রেস্তোরাঁয়। কাজু গোয়ানি, কাজু হান্ডি, রাজওয়াড়ি খিচড়ি এবং লাসানিয়া বাটাটা গ্রেভির মতো খাবার তো মিলবেই! সেই সঙ্গে পাওয়া যাবে উত্তর ভারতীয় খাবার এবং ফাস্ট ফুড স্ন্যাকসও।
৩৬০ দ্য রুফটপ রেস্তোরাঁ:
জামনগর গেলে অবশ্যই এখানে আসতে হবে। কারণ ট্র্যাডিশনাল গুজরাতি খাবার পাওয়া যায় এখানে। সুন্দর পরিবেশ এবং দারুণ পরিষেবা – সব মিলিয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে রয়েছে এই রেস্তোরাঁ।