প্রতিদিন যদি আপনি এক মাস ধরে অল্প পরিমাণে আদা খাওয়ার অভ্যাস করেন, তবে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি পাওয়া যায়। আদার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরে ফোলাভাব ও জ্বালাভাব কমায়। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রে খাবার হজমে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: ক্যানসারের দারুণ বন্ধু এই ৬ খাবার! কী খেতে পারে বদলে? জানুন সহজ বিকল্প, অবহেলায় চরম পরিণতি হতে পারে…
advertisement
আদা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা জিঞ্জারল নামক যৌগ শরীরকে জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। তাই সর্দি-কাশি ও সাধারণ ফ্লু প্রতিরোধেও এটি কার্যকর। আদা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
নারীদের জন্য আদা অত্যন্ত উপকারী। মাসিক চলাকালীন যন্ত্রণা ও পেটের মুচড়ানো ব্যথা অনেকাংশে কমাতে পারে আদা। এছাড়া এটি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: মুখের দুর্গন্ধের কারণে কেউ পাশে বসতে চায় না? ৫টি সহজ উপায়ে শ্বাসে আসবে তাজা ভাব, কীভাবে জানুন…
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও আদা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
ওজন কমাতে চাওয়া মানুষের জন্য আদা অত্যন্ত সহায়ক। এটি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ফ্যাট বার্নিং প্রসেসকে ত্বরান্বিত করে। তাই ডায়েট বা ব্যায়ামের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ আদা খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া সম্ভব।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনো উপাদানের অতিরিক্ত সেবন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।
দিল্লি AIIMS-এর গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডাঃ রোহিত মালহোত্রা বলেছেন, “আদার মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হজম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে যাদের আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের প্রবণতা বেশি, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এটি সেবন করুন।”
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।