Cancer: ক্যানসারের দারুণ বন্ধু এই ৬ খাবার! কী খেতে পারে বদলে? জানুন সহজ বিকল্প, অবহেলায় চরম পরিণতি হতে পারে...

আপনি যা খান, তাই আপনি হয়ে ওঠেন—এই কথাটি নিছক প্রবাদ নয়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একাধিক চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে কিছু সাধারণ খাবার আছে যেগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবে ভালো খবর হলো—এর চেয়েও স্বাস্থ্যকর বিকল্প রয়েছে, এবং এই ছোট পরিবর্তনগুলো দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রক্রিয়াজাত মাংস (বেকন, সসেজ, হট ডগ): বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ধরণের মাংসকে ‘গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা কোলন ও পাকস্থলীর ক্যানসার ঘটাতে পারে। কারণ এতে নাইট্রেট, নাইট্রাইট ও PAH-এর মতো ক্ষতিকর যৌগ থাকে।

বিকল্প: হাম বা সালামির বদলে গ্রিলড চিকেন, হিউমাস বা শাকসবজি দিয়ে স্যান্ডউইচ খান। লেন্টিল, টফু ও শিমজাতীয় প্রোটিনও ভালো বিকল্প।

লাল মাংস (বিশেষ করে বারবিকিউ বা গ্রিল করা): গ্রিল করার সময় যে HCA এবং PAH যৌগ তৈরি হয় তা DNA ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। নিয়মিত বেশি পরিমাণে লাল মাংস খেলে কোলন ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

বিকল্প: গ্রিলের পরিবর্তে বেক বা রোস্ট করুন। বেশি করে সবজি, কুইনোয়া, ওটস ও লেগুমস খেতে চেষ্টা করুন।

মিষ্টিযুক্ত পানীয় (সোডা, এনার্জি ড্রিংক): সুগার সরাসরি ক্যানসার তৈরি না করলেও, এটি স্থূলতা, ইনসুলিন রেজিস্টেন্স ও দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের দিকে নিয়ে যেতে পারে—যা স্তন ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

বিকল্প: লেবু দেওয়া জল, হার্বাল চা, ফল-ভেজানো জল বা স্বল্পমাত্রায় নারকেল জল পান করুন।

পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট (সাদা ভাত, সাদা রুটি, সুগারযুক্ত সিরিয়াল): এই খাবারগুলো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় এবং ইনসুলিন স্পাইক তৈরি করে—যা স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসারের সাথে জড়িত।

বিকল্প: ব্রাউন রাইস, ওটস, মিলেট ও হোল হুইট রুটির মতো কম প্রসেসড শস্য খান।

অ্যালকোহল: এমনকি পরিমিত পরিমাণে খাওয়াও স্তন, লিভার ও কোলনের ক্যানসার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কারণ অ্যালকোহল শরীরে অ্যাসিটালডিহাইডে পরিণত হয়, যা DNA নষ্ট করতে পারে।

বিকল্প: তাজা রস দিয়ে তৈরি মকটেল, হার্ব ইনফিউজড জল বা কম্বুচা খান। একেবারে বাদ দেওয়া গেলে সবচেয়ে ভালো।

অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার (চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস): এই ধরনের খাবারে অতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট, প্রিজারভেটিভ ও সোডিয়াম থাকে, যা অন্ত্রে প্রদাহ তৈরি করে এবং পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

বিকল্প: বাসায় তৈরি নাস্তা যেমন—রোস্টেড চানা, বাদাম, ফলের সঙ্গে দই বা বেক করা সুইট পটেটো ট্রাই করুন।

ছোট পরিবর্তন, বড় লাভ: হার্ভার্ডের নিউট্রিশন এক্সপার্ট ড. ডেভিড লুডউইগ বলেন—কোনও একক খাবার স্বাস্থ্য বা রোগ নিশ্চিত করে না, কিন্তু সামান্য পরিবর্তনও দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের খাবারে সচেতন পছন্দই হতে পারে আপনার ভবিষ্যতের বিনিয়োগ।

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।