কিন্তু কোনটি বেশি ভাল, ঝুঁকি কোনটিতে কম, জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত—
ইমারশন রড—
সব থেকে সাশ্রয়ী উপায় হল এই ইমারশন রড। তাছাড়া এগুলি বহনযোগ্যও। ২০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যেই এই ধরনে গ্যাজেট পাোয়া যায়। তার উপর যাঁরা তোলা জলে স্নান করেন, তাঁদের জন্যও এটি উপযুক্ত। মাত্র ১০-১৫ মিনিটে এক বালতি জল গরম করা যায়। তবে এগুলি গিজারের মতো শক্তিশালী নয়। অনেক সময়ই তড়িদাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানী হয়েছে এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে। তাই ইমারশন রড কেনার সময় দেখে নিতে হবে তা যেন যথেষ্ট নিরাপদ হয়। আজকাল, ‘শকপ্রুফ’ ইমারশন রড পাওয়া যায়, এতে বিপদের আশঙ্কা কম।
advertisement
গিজার—
গিজারের দাম স্বাভাবিক ভাবেই বেশি। তবে এটি দ্রুত জল গরম করে। তবে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী স্থির করে নিতে হবে কত লিটার গিজার ইনস্টল করা হবে। তড়িদাহত হওয়ার আশঙ্কা এতে প্রায় নেই বললেই চলে। এখন স্বয়ংক্রিয় গিজারও পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আলাদা করে সুইচ দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ করারও প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: পাখির চোখ করে ফেলেছেন, ডিসেম্বরের শুরুতেই চমক দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
পার্থক্য—
ইমারশন রড সাশ্রয়ী এবং বহনযোগ্য। গিজার ব্যয়বহুল এবং ইনস্টলেশন প্রয়োজন।
ইমারশন রড বিশেষত শিশুদের জন্য মোটেও নিরাপদ নয়। গিজার নিরাপদ।
গিজার এক সঙ্গে অনেকটা জল দ্রুত গরম করতে পারে। ইমারশন রডে সময় তুলনামূলক ভাবে বেশি লাগে।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় জেলে, জেলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! আরও বাড়ল জল্পনা
স্বাস্থ্যের ঝুঁকি—
ইমারশন রড দিয়ে গরম করা জল স্বাস্থ্যের উপর কোনও প্রভাব ফেলে কিনা তা নিয়ে বিস্তারিত কোনও গবেষণা এখনও হয়নি। কিন্তু নিরাপত্তা বিষয়ে যে গবেষণা হয়েছে, তাতে PubMed Central জানিয়েছে, এর বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে, যা তড়িদাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
বেশিরভাগ ইমারশন রডই নিরাপত্তা মান পূরণ করে না। আবার এর দ্বারা জল অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। বৈদ্যুতিক গিজারের ক্ষেত্রেও বিষয়টা প্রায় একই।
তবে যেসমস্ত গিজার গ্যাসে চলে, তাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে—
গ্যাস গিজার চারপাশ থেকে অক্সিজেন শোষণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ায়। এর ফলে আশেপাশে বিষক্রিয়া হতে পারে। নানাবতী হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. প্রদ্যুম্ন ওক বলেন, গ্যাস গিজার কার্বন মনোক্সাইড নির্গত করে যা একটি বিষাক্ত রাসায়নিক। এতে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।