সঠিক চারা: বাগানে ফুল গাছ না থাকলে মানায় না। তবে গরমে লাগানোর জন্য সঠিক ফুলের চারা বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে জবা, বোগেনভিলিয়া, গোলাপ এবং সূর্যমুখী উপযুক্ত। গ্রীষ্মকালে ফুটবে ভালো। সঙ্গে বাগানও হবে রঙিন।
বসার জায়গা: বাগানে বসার জায়গা করতেই হবে। একদম ভোরে কিংবা বিকেল বা সন্ধ্যায় প্রকৃতিকে উপভোগ করার সবচেয়ে ভালো জায়গা বাগান। তাই ছায়া আছে এমন জায়গায় একটা টি টেবিল আর দুটো-চারটে চেয়ার দিয়ে সাজিয়ে ফেলা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : ফলের রাজার হাতে দিন ত্বকের যত্নের দায়িত্ব, বয়স কমবে, ট্যান থেকেও মিলবে মুক্তি
পাখিদের স্নান: বাগান থাকলে পাখিরাও আসবে। তারাই তো বাগানের অতিথি। তাই অতিথি আপ্যায়নের জন্য একটা ছোট পুল করে দেওয়া যায়। সেখানে পাখিরা স্নান করতে পারবে। সঙ্গে বাগানেও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ভাব আসবে।
ফুলের ঝুড়ি: বাগানে যদি বড় গাছ থাকে তাহলে তাতে ফুলের ঝুড়ি ঝুলিয়ে দেওয়া যায়। সেই গাছের ডালপালা বেয়ে নেমে আসবে শাখাগুলো। চমৎকার দেখতে লাগবে। এছাড়া মিনিয়েচার লাইটও ঝুলিয়ে দেওয়া যায়। সেটাও দৃষ্টিনন্দন হবে।
আরও পড়ুন : স্বমেহন আর ফোর প্লেতেই লুকিয়ে দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
ক্ষা: গ্রীষ্মের প্রখর রোদ থেকে সংবেদনশীল ফুল গাছগুলোকে রক্ষা করা জরুরি। এ জন্য টবের উপর কাপড়ের শেড করে দিলে সবচেয়ে ভালো। এটা দুপুরের রোদ থেকে গাছগুলো রক্ষা করবে। সঙ্গে গাছের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় আলোও মিলবে।
মাটির মান: ভাল বাগান করতে গেলে মাটির মান উন্নত করতেই হবে। তাই গরমের শুরুতেই মাটি পাল্টে দেওয়া উচিত। এতে জল ধরে রাখার ক্ষমতা এবং বায়ু চলাচলের ক্ষমতা, দুইই বৃদ্ধি পাবে। মাটিতে জৈব পদার্থ বা সার ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো। এতে মাটির ধারণ ক্ষমতা বাড়ে।
আরও পড়ুন : হাতে, পায়ে ঝিঁঝি ধরে কেন? প্রতিকারই বা কী? এই লক্ষণ কি উদ্বেজনক?
ঠিক সময়ে জল: গ্রীষ্মে গাছে জল দেওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হল সকাল এবং সন্ধ্যা। এই সময় মাটি ঠান্ডা থাকে। দুপুরে প্রখর রোদের মধ্যে জল দিলে গাছের ক্ষতি হতে পারে। তবে বাগানে কনটেনর প্ল্যান্ট থাকলে ঘন ঘন জল দিতে হবে। কারণ গ্রীষ্মকালে জল খুব দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়। টবের নীচে একটা পাত্র রেখে দেওয়া যায়। তাতে উদ্বৃত্ত জল জমা হবে।
মালচ: মাটিতে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি জৈব মালচ থাকলে খুব ভাল। এক্ষেত্রে কম্পোস্ট খড় বা কাটা ঘাস ব্যবহার করা যায়। এটা প্রাকৃতিক কুলারের মতো কাজ করে। গরমের দিনে মাটি ঠান্ডা করে। ফলে গাছ আরাম পায়। আগাছাও কম হয়।