চাল ধোওয়া জল এবং ভাতের ফ্যান ত্বকের ছিদ্র কমায়, ত্বককে আঁটসাঁট এবং উজ্জ্বল করে। এমনই বলছেন কোরিয়ান মহিলারা। তাঁরাই গ্লাস স্কিন ত্বকের উদ্ভাবক। এই স্কিনকেয়ারে ত্বক এতটাই চকচক করে যে কাচের মতো মনে হয়। আর নিখুঁত ত্বকের জন্যই তো কোরিয়ান মহিলাদের পরিচিত। তাই তাঁদের কথা ফেলে দেওয়ার মতো নয় মোটেই। তাছাড়া ‘রাইস ওয়াটার’ তত্ত্বে সায় দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞরাও। তাহলে সরেজমিনে দেখে নেওয়া যাক ব্যাপারটা।
advertisement
ত্বকে রাইস ওয়াটারের উপকারিতা:
কোমল ত্বক: সংবেদনশীল ত্বকের যত্নে এর জুড়ি নেই। এটা ব্রণ, জ্বালা এবং অন্যান্য ত্বকের প্রদাহের চিকিৎসায় সহায়তা করে বলেও জানা গেছে। তাছাড়া এর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয় কোমল এবং মসৃণ।
ছিদ্র নিয়ন্ত্রণ করে: ত্বকে প্রশস্ত ছিদ্র থাকলে রাইস ওয়াটার দুর্দান্ত টোনার হিসেবে কাজ করে। ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার তো করেই সঙ্গে সিবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা নেয়। যার ফলে ত্বকের প্রশস্ত ছিদ্র হ্রাস পায়।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে গাড়ি আটকে মারাত্মক কাণ্ড ধূপগুড়িতে! নৃশংস ঘটনার শিকার মহিলারাও
ত্বক উজ্জ্বল করে: যদি নিস্তেজ ত্বক, ব্রণ বা ত্বকের অমসৃণ টোন থাকে তাহলে রাইস ওয়াটার উপকারী হতে পারে। এটা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং কোমল হয়। তাছাড়া এটা ত্বকে দাগ এবং পিগমেন্টেশন দূর করতেও সাহায্য করে।
অ্যান্টি-এজিং: এর উচ্চ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতার কারণে সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা হ্রাস করার পাশাপাশি ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে।
সূর্য রশ্মি থেকে রক্ষা করে: রাইস ওয়াটার প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। ত্বককে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ঠিকঠাক ব্যবহার করলে পোড়া ত্বক নিরাময় এবং সান ট্যানের দাগ দূর করতেও এই জুড়ি নেই।
আরও পড়ুন: চলতে-চলতেই হঠাৎ বিয়েবাড়ির বাসে দাউদাউ আগুন, চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল কাঁথিজুড়ে
ত্বকের জন্য রাইস ওয়াটারের মিস্ট: একটি কুকারে, এক কাপ চাল এবং তার দ্বিগুণ জল নিতে হবে। চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে সেই চালের জল ছেঁকে নিতে হবে একটা বোতলে। চাইলে চালটা এক কাপ জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখার পর সেই জলটাও বোতলে ছেঁকে নেওয়া যায়। এবার স্নানের পরে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখে-ঘাড়ে সেটা স্প্রে করলেই হাতে-নাতে ফল মিলবে।