পিতৃপক্ষের এই ১৫ দিন পালন করতে হয় বিশেষ কিছু আচার, মেনে চলতে হয় কিছু নিয়ম। তবেই সন্তুষ্ট হন পূর্বপুরুষেরা, আশীর্বাদ নেমে আসে উত্তরপুরুষদের জীবনে।
p style="text-align: justify;">হিন্দু পরম্পরা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষদের জল এবং পিণ্ডদান করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই সময় জল এবং পিণ্ডদান করলে পূর্বপুরুষের কাছে সহজেই তা পৌঁছে যায়। চিরতরে মুক্তি লাভ করে আত্মা। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে যা এই সময় খাওয়া উচিত নয়।
advertisement
p style="text-align: justify;">আরও পড়ুন- এবার পুজোর একটা দিন কাটুক বাঙালি খাবার এবং উত্তম-সুচিত্রার সঙ্গে ‘সপ্তপদী’-তে
পিতৃপক্ষের তাৎপর্য: এ বছর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পিতৃপক্ষ। অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে। পিতৃপক্ষ চলবে এক পক্ষকাল, মানে ১৫ দিন। শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে। সব পিতৃপক্ষ অমাবস্যাতেই শেষ হয়।
খাবারের গুরুত্ব: ভারতীয় সংস্কৃতিতে খাবারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সে পুজো-পার্বণ হোক কিংবা কোনও অনুষ্ঠান। রয়েছে আমিষ, নিরামিষের আলাদা ব্যবস্থা। পিতৃপক্ষে পরিবারের জন্য রান্না করা খাবার প্রথমে কাক এবং পুরোহিতদের পরিবেশন করা হয়। কাক পিতৃলোকের রক্ষক যমের সঙ্গে যুক্ত। তাই সে প্রথম খাবে। তারপর বাকিরা। মৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী যাত্রা শুরুর জন্য এই আচার অপরিহার্য।
পিতৃপক্ষে যে সব খাবার খাওয়া উচিত নয়: এই সময় নিরামিষ খাবার খাওয়াই শাস্ত্রীয় নিয়ম। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন এড়িয়ে চলা উচিত। পিতৃপক্ষে রাজসিক এবং তামসিক আহার বর্জন করার কথা বলা হয়। এই ধরনের খাবারে শরীর তপ্ত হয়, চঞ্চল হয় মন। পরিবারের সবার পক্ষে সম্ভব না হলেও যে ব্যক্তি জল এবং পিণ্ডদান করবেন তিনি যেন শুদ্ধ থাকেন, এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলেন।
আমিষ খাবার: হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী আমিষ খাবারকে তামসিক মনে করা হয়। পিতৃপক্ষের ১৫ দিন তাই যে কোনও মূল্যে নিরামিষ খাবার খাওয়াই ভাল।
কাঁচা শস্য-সবজি: গম ভারতীয় রান্নার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু অনেকেই জানেন না, পিতৃপক্ষে চাল, ডাল, লেবু, শস্য কাঁচা খেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে রান্না করে খাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন- রাজকীয়ভাবে পুজোর একদিন কাটান ‘কলকাতা রাজবাড়ি’-তে
ডাল: হিন্দু শাস্ত্রে মুসুর ডালকে আমিষ মনে করা হয়। তাই পিতৃপক্ষে মুসুর ডাল খেতে বারণ করা হয়। শুধু তাই নয়, এই ১৫ দিন ছোলার ডালেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।