গোলাপজল:
প্রতিদিন সকালে রাশিয়ান মহিলারা গোলাপ জল দিয়ে তাঁদের মুখ পরিষ্কার করেন। এতে তাঁদের ত্বক টোনিং হয়।
বিশেষ টক ক্রিম:
ফেসপ্যাক তৈরির সময় টক স্বাদের ক্রিম ব্যবহার করেন তাঁরা। এই ক্রিমে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে দিতে সাহায্য করে।
ডিমের কুসুম:
advertisement
রাশিয়া ঠাণ্ডার দেশ। সেখানকার আবহাওয়াও তাই অত্যন্ত শুষ্ক ও রুক্ষ। তাই ত্বকে যাতে আর্দ্রতার অভাব না হয় সেইজন্য রাশিয়ান মেয়েরা ডিমের কুসুম মুখে মাখেন, যাতে শুষ্কতা দূর হয় এবং ত্বকে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় থাকে। ডিমের কুসুম ত্বকে পুষ্টিও যোগায়।
আরও পড়ুন: নিখুঁত মেকআপ করতে চান? সাহায্য করবেন কাজল আগরওয়াল!
শসার রস:
ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে তাঁরা ব্যবহার করেন শসার রস। শসার রসও ত্বকে আর্দ্রতা যোগায়। এছাড়াও সময়ের আগেই মুখে বলিরেখা পড়া রোধ করে শসার রস। শুষ্কতার জন্য যদি ত্বকে লাল ভাব ও ফোলাভাব দেখা দেয় তাহলেও শসার রস লাগানো যেতে পারে।
রাস্পবেরি জুস:
রাশিয়া এবং ইউক্রেন, দুই দেশের মহিলারাই ঠোঁটে স্বাভাবিক গোলাপি আভা নিয়ে আসতে রাস্পবেরির রস লাগান। রাস্পবেরি ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ভিটামিন। এই জুস শুধু ঠোঁটে গোলাপি আভা নিয়ে আসে তাই নয়, ঠোঁটের কালো ছোপও দূর করে। রাস্পবেরি জুসের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগালে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
গালের জন্য বিটরুট:
এক ইভাবে গালে প্রাকৃতিক গোলাপি আভা নিয়ে আসতে তাঁরা ব্যবহার করেন বিটের রস। বিটরুট একটি প্রাকৃতিক ডিটক্স এজেন্ট। এটি ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে। এছাড়াও অ্যাকনে প্রতিরোধে এবং ডার্ক সার্কেল দূর করতে বিটরুটের জুড়ি নেই।
সল্ট স্ক্রাব:
নুনের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করেন রাশিয়ার নারীরা। এই স্ক্রাব দিয়ে ত্বক এক্সফোলিয়েত করলে ত্বকের মৃত কোষ ঝরে যায়।