আইশ্যাডো লাগানোর আগে সবসময় প্রাইমার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটা চোখের পাতা জোড়া আরও মসৃণ করবে। মেকআপো দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে শুধু চোখের পাতা নয়, চোখের নিচের অংশের মেকআপও গুরুত্বপূর্ণ। ডার্ক স্পট ফুটে উঠলে বিশ্রী দেখাবে। চোখের নিচে এক ফোঁটা আই ক্রিমই যথেষ্ট। তারপর হালকা হাতে চাপতে হবে। এভাবে পাঁচ মিনিট রেখে দিলে মেকআপ স্থায়ী হবে। পরিপূর্ণতা পাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণ হয় কেন জানেন? রোগমুক্ত হতে আজ থেকেই সাবধান হয়ে যান
ত্বক যদি অত্যন্ত শুষ্ক হয় তাহলে আরও কয়েক ফোঁটা আই ক্রিম লাগাতে হবে। রাখতে হবে অন্তত ১০ মিনিট। তারপর লাগাতে হবে। ত্বকের রঙের উপর ভিত্তি করে কারেক্টর বেছে নেওয়া উচিত। ত্বক হালকা থেকে মাঝারি শ্রেণীতে পড়লে পিচ সাইড বেছে নেওয়া যায়, ত্বক মাঝারি থেকে গাঢ় হলে কমলা রঙ ব্যবহার করাই ভাল। খুব বেশি ঘষাঘষি করা উচিত নয়। হালকা ড্যাব করলেই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: রেস্তরাঁয় গেলেই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন? এই টিপস মেনে চললে মনও ভরবে, ওজন বাড়বে না
এরপর ব্যবহার করতে হবে কনসিলার। ত্বকের রঙের চেয়ে একটু হালকা রঙ বেছে নিতে হবে, তবেই চোখের নিচের এলাকা উজ্জ্বল দেখাবে। ট্যাপ করে মিশিয়ে নিতে হবে। সবার শেষে কনসিলার দিয়ে ক্রিজ কেটে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার দিয়ে সেট করে নিতে হবে। নাটকীয় উইংড আই লুক চাইলে আইলাইনারের সোয়াইপ দিয়ে শেষ করতে হবে।
চোখের লোমও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারলে সাজ আরও খোলতাই হয়। এর জন্য দুটি কাজ করা যায়। এক ঘন, দুই লম্বা। পূর্ণতার ছোঁয়া দিতে চাইলে মাঝখান থাকে টিপ পর্যন্ত লম্বালম্বি ভাবে মাস্কারা লাগাতে হবে। তারপর ব্রাশ। আর লম্বা করতে চাইলে বাইরের দিকে আরও বেশি করে লাগাতে হবে। আরেকটা কৌশল হল পেনসিল লাইনারকে কাজে লাগানো। একই বা অনুরূপ গাঢ় পাউডার আই শ্যাডো বা সবচেয়ে গাঢ় রঙের শেড ব্যবহার করতে হয়। এটা পেনসিল এবং ল্যাশের মাঝখানের যে কোনও ফাঁক পূরণ করে।