প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণ হয় কেন জানেন? রোগমুক্ত হতে আজ থেকেই সাবধান হয়ে যান

Last Updated:

সংক্রমণে কিডনি, মূত্রনালী এবং মূত্রাশয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালা, স্বাভাবিকের চেয়ে ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ এবং গুরুতর ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় রক্তপাত।

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই মূলত প্রস্রাবের সংক্রমণ। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই হতে পারে। সংক্রমণে কিডনি, মূত্রনালী এবং মূত্রাশয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালা, স্বাভাবিকের চেয়ে ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ এবং গুরুতর ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় রক্তপাত। এই সংক্রমণ অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক। তাই এটা কীভাবে হয় সেই নিয়ে সচেতনতা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় পছন্দ করলে ইউটিআই সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। আসলে যে ব্যাকটেরিয়াগুলোর কারণে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হয়, তারা চিনি খেতে পছন্দ করে। ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলেও ইউটিআই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
advertisement
advertisement
পিছন থেকে সামনে: পুরুষদের তুলনায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন মহিলাদের বেশি হয়। প্রস্রাব করার পর মহিলারা টয়লেট পেপার দিয়ে পিছন থেকে সামনে মোছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এতে মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে ছড়িয়ে পড়ে। ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ওয়াশরুম ব্যবহারের সময় সামনে থেকে পিছনে মোছার কথা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
অতিরিক্ত যৌনতা: যৌনতা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু অতিরিক্ত যৌনতার কারণে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। এই অবস্থাকে ‘হানিমুন সিস্টাইটিস’ বলা হয়। সহবাসের সময়, ব্যাকটেরিয়া যোনি এবং পেরিনিয়াম থেকে মূত্রনালীতে যাওয়ার কারণে এটা ঘটে। পেরিনিয়াম হল যোনি এবং মলদ্বারের মধ্যবর্তী স্থান।
advertisement
সহবাসের পর প্রস্রাব নয়: ব্যাকটেরিয়া যৌনাঙ্গে ঘুরে বেড়াতে পারে, বিশেষ করে সহবাসের সময়, সেকারণে সহবাসের আগে এবং পরে প্রস্রাব করতে নিষেধ করা হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে। সহবাসের পর প্রস্রাব না করলেও সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন।
পর্যাপ্ত জলপান: হাইড্রেটেড থাকা সব ধরনের অসুখ তো বটেই, এমনকী ইউটিআই প্রতিরোধেরও চাবিকাঠি। পর্যাপ্ত জলপান না করলে বা ডিহাইড্রেশন হলে মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ইউটিআই আক্রান্তদের ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস অর্থাৎ ১.৫ থেকে ২ লিটার জল পানের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
advertisement
জন্মনিয়ন্ত্রণের কিছু পদ্ধতিও ইউটিআই-এর কারণ হতে পারে: কয়েক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যেমন ডায়াফ্রাম, সার্ভিকাল ক্যাপস, স্পার্মিসাইডস এবং স্পার্মিসাইড কন্ডোম ইউটিআই-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ কৌশল বেছে নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণ হয় কেন জানেন? রোগমুক্ত হতে আজ থেকেই সাবধান হয়ে যান
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement