আরও পড়ুন: সারাদিনে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় আহার সকালের জলখাবার নয়, প্রচলিত 'ভুল' ভাঙুন!
অন্য দিকে, মুগ ডাল আমাদের রোজকার জীবনের সবচেয়ে পুষ্টিকর ডাল। যদিও বেশিরভাগ মানুষের মুগ ডাল একঘেয়ে লাগে; কিন্তু এই ডালের বিষয়ে আমরা হয় তো অনেক কিছুই জানি না৷ এই ডালে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই এবং ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়ামের মতো মিনারেল এবং অবশ্যই প্রোটিন রয়েছে। নিরামিষাশী হলে এবং ডায়েটে প্রোটিন রাখতে চাইলে রোজ মুগ ডালের চেয়ে ভালো খাবার আর কিছু হতে পারে না। এই ডালটি হার্টের জন্য ভালো এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। মুগ ডালের এত উপকারিতা রয়েছে যে প্রাচীন যুগে চিনেও এই ডালকে গুরুত্ব দেওয়া হত, কারণ এটির মধ্যে ভিটামিন বি-১, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি-৬ (পাইরিডক্সিন) রয়েছে যা ক্যানসারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে৷
advertisement
আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা কাপুরের মতো চুল চান? জেনে নিন নায়িকার ঘন চুলের রহস্য!
উপকরণ
১ ১/২ কাপ মুগ ডাল
১ ১/২ রাগি
১ চামচ গোলমরিচ
১/২ কাপ দই
১ মুঠো কারিপাতা
লবণ, প্রয়োজন অনুযায়ী
পদ্ধতি
একটি পাত্রে মুগ ডাল নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এক ঘন্টা জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ ভেজানো হয়ে গেলে, কারি পাতা ও গোলমরিচ সহ ডাল পেস্ট করতে হবে। চাইলে পেস্ট করার সময়ে খানিকটা জল দিতে পারি আমরা। এর পর, রাগি আটাতে একটু জল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই রাগি পেস্ট মুগ ডালে দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে হবে। একটি বড় পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে লবণ এবং টক দই মেশাতে হবে। এবার ফেটিয়ে ভালো ব্যাটার তৈরি করে একপাশে সরিয়ে রাখতে হবে৷ এবার মাঝারি আঁচে একটি ধোসা প্যানে তাড়াতাড়ি বসিয়ে জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর একটি পরিষ্কার টিস্যু অথবা রান্নাঘরের তোয়ালে দিয়ে জল মুছে নিতে হবে। এবার প্যানে একটু তেল ছিটিয়ে ভালো করে গরম হতে দিতে হবে। এরপর একটি হাতায় করে ধোসা ব্যাটার নিয়ে ধোসা তাওয়াতে দিতে হবে৷ তাওয়া গোল করে ঘুরিয়ে ব্যাটারটি ছড়িয়ে দিতে হবে এবং বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে৷ এবার উল্টে অন্য দিকটিও রান্না করে সবুজ চাটনি দিয়ে পরিবেশন করে যায়।