এখানেই শেষ নয়, পুরনো হয়ে যাওয়া ওড়নাকেও ঠিক এই ভাবেই রি-ইউজ করা যেতে পারে। সেটা ফেলে না-দিয়ে কিংবা ন্যাতা না-বানিয়ে পুরনো ওড়না দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে দুর্দান্ত একটা ট্রেন্ডি শ্রাগ। যা লুক এবং স্টাইলটাই বদলে দিতে পারে। আর এটা ফ্যাশনে আনে একটা অভিনবত্বও। যেমন ধরা যাক, বাইরে কোথাও ঘুরতে বেরোনো হচ্ছে। জিনস আর টপ পরে নিয়েছেন কেউ। কিন্তু ব্যাপারটা একটু বোরিং। তাই সেই একঘেয়েমি কাটাতে পোশাকের উপরে একটা শ্রাগ চাপিয়ে নিলেই হল। আর শর্টস কিংবা ছোট্ট ড্রেসের সঙ্গেও ফ্লেয়ার্ড শ্রাগ দারুন যায়। শুধু তা-ই নয়, সালোয়ার স্যুটের সঙ্গে ওড়না না-নিয়ে বরং একটা ম্যাচিং কিংবা কনট্রাস্ট শ্রাগ চাপিয়ে নিলে দারুন একটা লুক চলে আসবে। আর সামনেই তো দীপাবলি, এমন একটা লুক ট্রাই করে দেখলে হয় না! তা-হলে ঝটপট দেখে নেওয়া যাক, পুরনো ওড়না দিয়ে কেমন শ্রাগ বানানো যায়। আর কীভাবেই বা ফ্যাশনের ভোল বদলে দেওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন - RIP Vaishali Thakkar: সব সময়েই হাসিখুশি, হঠাৎই নিলেন এত বড় সিদ্ধান্ত ,ছবিতে ফিরে দেখা সুন্দরী বৈশালীকে
মিড লেংথ শ্রাগ:
শর্ট ড্রেসের সঙ্গে পরার জন্য মিড লেংথের শ্রাগ দুর্দান্ত। এই ধরনের শ্রাগের জন্য প্রিন্টেড শিফনের ওড়না বেছে নিতে হবে। এক কালারের শর্ট ড্রেসের সঙ্গে কনট্রাস্ট কালারের অল্প ফ্লেয়ার্ড শ্রাগ জাস্ট অসাধারণ একটা লুক এনে দেবে। আর শ্রাগটির সামনের দিকে রাখতে হবে বাঁধার জন্য একটা দড়ি। এই ড্রেসের সঙ্গে হাতে সিলভার জ্যুয়েলারি পরে নিলেই সাজ হবে কমপ্লিট।
বেল স্লিভ শ্রাগ:
শিফনের রঙবেরঙের ওড়না নিয়ে সেটাকে শ্রাগের রূপ দেওয়া যেতে পারে। তবে এই শ্রাগে থাকুক বেল স্লিভস। আর বোহো লুক আনার জন্য শ্রাগের নিচের বা ঝুলের দিকে দড়ি লাগিয়ে নেওয়া যায়। কিংবা আটকে নেওয়া যায় সুতোর কাজের লেস। বিশেষ করে সমুদ্রের ধারে শর্টস পরলে এই শ্রাগ চাপিয়ে নেওয়া যায়। তাতে স্টাইলের একঘেয়েমি তো কাটবেই এবং সবার মাঝে নজরও কাড়া যাবে।
স্লিট কাট শ্রাগ:
এই ধরনের শ্রাগ বোহো লুকের জন্য একেবারে আদর্শ। স্কিনি জিনসের সঙ্গে ক্রপ টপ পরার স্টাইলটাও বেশ একঘেয়ে। এটায় একটা আলাদা মাত্রা যোগ করতে চাপিয়ে নেওয়া যায় মিডিয়াম ঝুলের একটা স্লিট কাট ফ্লোরাল শ্রাগ। দেখতে তো সুন্দর লাগবেই। আর ব্যাপারটা বেশ ফ্যাশনেবলও। তবে পায়ে অবশ্যই পরে নিতে হবে স্ট্র্যাপি হিলস।
ফ্লোর লেংথ শ্রাগ:
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে, এই ধরনের শ্রাগের ঝুল অনেক লম্বা হয়। ফলে লং গাউন হোক কিংবা জিনস-টপ - সব কিছুর সঙ্গেই যাবে এই শ্রাগ। শুধু তা-ই নয়, লুকেও একটা অনন্য মাত্রা যোগ করবে। এই ধরনের শ্রাগ বানাতে বেছে নিতে হবে এক রঙা কোনও ওড়না। আর কাপড় কেটে কেটে ধাপে ধাপে বসিয়ে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে এই ধরনের শ্রাগ। নিচে যোগ করা যেতে পারে ফ্রিলও।
শার্ট স্টাইল শ্রাগ:
শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এটা দেখতে হবে অনেকটা শার্টের মতোই। আর এই স্টাইলের শ্রাগ বানাতে ফুলকারি কিংবা চান্দেরি ওড়না বেছে নিলে ভাল হয়। সামনের দিকে শার্টের মতো বোতাম না-লাগিয়ে বরং সিমেট্রিক্যাল কাট রাখতে হবে। তাতে লুকে একটা আলাদা মাত্রা আসবে। সাধারণ জিনস-টপ এবং স্ট্র্যাপি হিলসের সঙ্গে দারুন যাবে এই স্টাইলের শ্রাগ।
ফ্রিল দেওয়া শ্রাগ
এই ধরনের শ্রাগ ভীষণই সুন্দর। আর লুকটাই পুরোপুরি পরিবর্তন করে দিতে পারে। সিমেট্রিক্যাল ডিজাইনের এই শ্রাগের উপরের দিকে এবং হাতায় যোগ করা যেতে পারে ফ্রিল। বিশেষ করে ফ্লোরাল ওড়না দিয়ে এই শ্রাগ বানিয়ে নিলে দুর্দান্ত দেখাবে। জিনস আর টপের সঙ্গে এটা দারুন যাবে।
শাড়ির উপর শ্রাগ
সুন্দর দেখতে সুতির ওড়নাও প্রাণে ধরে বাতিল করা যায় না। তাই সেটা দিয়েও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে বিভিন্ন লেংথের শ্রাগ। শাড়ির উপর মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে শ্রাগ গলিয়ে নিলেই একটা ক্লাসি লুক এসে যাবে। তবে শাড়ির আঁচলটা গলায় জড়িয়ে নিলে দেখতে আরও ভাল লাগবে।