TRENDING:

Eye Specialist's Interview on Conjunctivitis: কনজাংটিভাইটিস হলে রোদচশমা পরে বাইরে বার হওয়া কি নিরাপদ? কী বলছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ? জানুন

Last Updated:

Eye Specialist's Interview on Conjunctivitis: কনজাংটিভাইটিসে কাবু সব বয়সিরা৷ কী সাবধানতা নেবেন এই সংক্রামক অসুখে? জানালেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ মৃন্ময় দাস৷ নিউজ18 বাংলার হয়ে শুনলেন অর্পিতা রায়চৌধুরী

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কতটা বিপজ্জনক সংক্রামক কনজাংটিভাইটিস বাচ্চাদের হলে কী করবেন অভিভাবকরা? বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতাই বা কী? জানালেন চক্ষুবিশেষজ্ঞ মৃন্ময় দাস৷ নিউজ18 বাংলার হয়ে শুনলেন অর্পিতা রায়চৌধুরী
ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস অনেক বেশি ছোঁয়াচে
ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস অনেক বেশি ছোঁয়াচে
advertisement

এই মরশুমে তো ঘরে ঘরে রক্তচক্ষু। এত কনজাংটিভাইটিস হওয়ার কারণ কী?

চোখের এই অসুখ প্রায় প্রতি বছরই কমবেশি হয়৷ সাধারণত দু’ ধরনের কনজাংটিভাইটিস হয়৷ একটা ভাইরাল, আর একটা ব্যাকটেরিয়াল৷ এ বার ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস বেশি হয়েছে৷ ব্যাকটেরিয়াল কম হয়েছে৷ ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে লোকে আক্রান্ত হয়েছেন ভাইরাল কনজাংটিভাইটিসে৷

দুটোর মধ্যে মূল পার্থক্য কী?

advertisement

ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস অনেক বেশি ছোঁয়াচে৷ সংক্রমণ বেশি ছড়ায়৷ সাধারণত অ্যাডিনো ভাইরাসই এর জন্য দায়ী৷ এতে চোখ লাল হয়ে যায়৷ কড়কড় করে৷ পিচুটি বার হতে পারে৷ সকালে ঘুম থেকে উঠে পিচুটিতে চোখের পাতা প্রায় আটকে যায়৷ অনেকের চোখ থেকে জলও পড়তে পারে৷ এক জনের থেকে অন্য জনের ক্ষেত্রে উপসর্গ আলাদা হতে পারে৷ কারণ ভাইরাসের অনেক রকম স্ট্রেইন হয়৷

advertisement

সংক্রমণ সারতে কত দিন সময় লাগবে?

সেটাও কিন্তু নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে৷ কারওর দেখছি ৩-৪ দিনে সেরে গেল৷ কারওর আবার সময় লাগল ১ সপ্তাহ৷ অন্যান্য বার কিন্তু এর থেকে বেশি সময় লাগে৷ এরকমও দেখেছি ১৩ দিন লাগছে সংক্রমণ সম্পূর্ণ নিরাময় হতে৷ এ বছর সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে৷ কিন্তু উপসর্গের তীব্রতা কম৷

advertisement

সেরে যাওয়ার পরও কি কোনও সমস্যা হতে পারে?

সেটা অন্যান্য বার দেখেছি৷ কনজাংটিভাইটিস সেরে যাওয়ার পরও হয়তো আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হচ্ছে৷ বা দৃষ্টিশক্তি কিছুটা ঝাপসা হয়ে গিয়েছে৷ কর্নিয়ায় স্পটও হতে দেখেছি৷ এ বার কিন্তু একজন রোগীর মধ্যেও এই সমস্যা দেখিনি৷

তাহলে এ বছর প্রধান যে সমস্যা, সেটা হল অত্যন্ত বেশি ছোঁয়াচে?

advertisement

এই ছোঁয়াচের ক্ষেত্রে বলব, রোগ কিন্তু ছড়ায় শুধু স্পর্শ থেকে৷ আকাশ বাতাস থেকে নয়৷ ধরুন কারওর কনজাংটিভাইটিস হয়েছে৷ তিনি চোখে হাত দেওয়ার পর দরজার হাতল বা অন্য কোথাও হাত দিলেন৷ এর পর একজন সুস্থ ব্যক্তিও সেখানে হাত দিলেন৷ সেই হাতে নিজের চোখ মুছলেন৷ এ বার কিন্তু তিনিও সংক্রমিত হয়ে পড়বেন৷ তাই নোংরা হাত চোখে দেওয়াই যাবে না৷ যাঁরা চশমা পরেন, তাঁরা কম আক্রান্ত হচ্ছেন৷ কারণ তাঁরা চট করে চোখে হাত দেন না৷

মৃন্ময় দাস, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, দিশা আই হাসপাতাল

বাড়িতে যদি কারওর হয়, বাকিরা কী কী সাবধানতা নেবেন?

সবার আগে বালিশ বিছানা আলাদা করে ফেলুন৷ তোয়ালে, গামছা রোজ সাবান দিয়ে কেচে পরিষ্কার রাখুন৷ বালিশ, বিছানা, গামছা, তোয়ালে আলাদা করে রাখলেই অর্ধেক কাজ এগিয়ে রাখবেন৷

বাচ্চার যদি কনজাংটিভাইটিস হয়, স্কুলে পাঠানো যাবে না তো?

একদম না৷ যত দিন না পর্যন্ত চোখের লাল ভাব সম্পূর্ণ কাটছে, তত দিন পর্যন্ত স্কুলে পাঠাবেন না৷ এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকেও৷ খুব বেশি হলে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগবে সম্পূর্ণ নিরাময়ে৷ এই সময় বাড়িতেও পড়াশোনা নিয়ে চাপ না দেওয়াই ভাল৷ কারণ একটানা বইয়ের দিকে তাকাতে, মনোনিবেশ করতে এ সময় কষ্ট হয়৷ তাই চোখকে বিশ্রাম দেওয়াই বাঞ্ছনীয়৷

কনজাংটিভাইটিস হলে এর চিকিৎসা কী?

কনজাংটিভাইটিসের জন্য যে ভাইরাস দায়ী, সেই অ্যাডিনো ভাইরাসের কিন্তু কোনও অ্যান্টি ভাইরাল নেই৷ এই ধরনের অসুখ নিজের থেকেই সেরে যায়৷ আমাদের কাছে এলে উপসর্গ দেখে লুব্রিকেটিং ড্রপ দিই৷ ঘণ্টায় ঘণ্টায় দিতে বলি৷ এটাই মূল ওষুধ৷

কিন্তু কনজাংটিভাইটিস হলেই তো আর আমরা চিকিৎসকের কাছে যাই না৷ কী করে বুঝব এ বার চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

যদি উপসর্গ অসহ্যকর হয়ে ওঠে, যে কোনওভাবেই থাকা যাচ্ছে না, তাহলে যেতে হবে ডাক্তারের কাছে৷ যদি দেখা যায় উপসর্গ ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে, চোখ ক্রমশ ফুলে উঠছে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে৷ যদি দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে৷ নিজে থেকে যা খুশি ড্রপ দেওয়া, ওষুধের দোকান থেকে বলে ওষুধ নেওয়া-এসব কিন্তু একদমই চলবে না৷ অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নিলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে৷ দৃষ্টিশক্তির বড় ক্ষতি পারে৷

কনজাংটিভাইটিস হলে স্মার্টফোনও দেখা চলবে না তো?

এ সময়ে চোখকে যত বিশ্রাম দেবেন ততই ভাল৷ স্মার্টফোন, টিভির স্ক্রিন সবকিছু থেকে চোখকে দূরে রাখুন৷

তাহলে কনজাংটিভাইটিস হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই তো?

একদম চিন্তার কিছু নেই, সেটা বলব না৷ কিছু ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা অবশ্যই দরকার৷ যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, ক্রনিক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা থাকলে বা বয়স বেশি হলে প্রথমেই ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে৷

যদি কারওর চোখের কোন চিকিৎসা চলে বা কারওর যদি সদ্য ছানির জন্য অস্ত্রোপচার হয়, সেই অবস্থায় যদি কনজাংটিভাইটিস হয়, তাহলে করণীয় কী?

তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে৷ জানতে হবে সেটা আদৌ কনজাংটিভাইটিস নাকি অন্য কোনও সমস্যা৷ কারণ চোখ নানা কারণে লাল হতে পারে৷ তাই এই জটিল ও স্পর্শকাতর ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে৷

অন্যান্য ক্ষেত্রেই বা বুঝব কী করে কনজাংটিভাইটিসই হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণে চোখ লাল হয়েছে?

অন্য কারণ বলতে অ্যালার্জির কারণে চোখ লাল হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে কিন্তু চোখ চুলকোবে৷ এছাড়াও উপসর্গে পার্থক্য থাকবেই৷ তাই নিয়ম হল উপসর্গের প্রথম থেকেই ডাক্তার দেখিয়ে রোগ সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া৷

অনেককেই দেখেছি কনজাংটিভাইটিস হলে সানগ্লাস পরে বেরিয়ে পড়েন৷ এটা কি ঠিক?

একদমই ঠিক নয়৷ কারণ বাইরে বার হলে সংক্রমণ ছড়াবেই৷ এ সময় গণপরিবহণ ব্যবহার করা যাবে না৷ আমি তো বলব সংক্রামক কনজাংটিভাইটিস হলে বাড়িতে থাকুন৷ কাজের জায়গা, নিমন্ত্রণবাড়িতে যাবেন না৷ আপনার চোখেরও বিশ্রাম হবে৷ আপনার থেকে বাকিদের মধ্যেও অসুখ ছড়াবে না৷

এই অসুখের হোম রেমেডি নিয়ে যদি একটু বলেন…

অনেকেই চোখে খুব জলের ঝাপটা দেন৷ আমি বলব, অত বেশি জলের ঝাপটা দেবেন না৷ বার বার চোখে জল দেওয়ার দরকার নেই৷ বরং সকালে রাতে মিলিয়ে দিনে অন্তত দু’বার চোখ মুছে নিন৷ প্রথমে সাবান দিয়ে হাত ভাল করে ধুয়ে নিন৷ তার পর গরমজলে তুলো ফুটিয়ে সেটা ঠান্ডা করে বাইরে থেকে আলতো হাতে চোখ মুছে নিন৷ এতেই সবথেকে ভাল কাজ হবে৷ সেইসঙ্গে চাইলে কোল্ড কম্প্রেসও করতে পারেন৷

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Eye Specialist's Interview on Conjunctivitis: কনজাংটিভাইটিস হলে রোদচশমা পরে বাইরে বার হওয়া কি নিরাপদ? কী বলছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ? জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল