দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন:
মাঝেমধ্যেই চোখ যদি ঝাপসা হয়ে আসে, কিংবা কোনও কিছু পড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। তার পরেই চক্ষু পরীক্ষা করাতে হবে। আসলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এলে তা গ্লকোমার উপসর্গও হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঠোঁট অতিরিক্ত শুকিয়ে যাচ্ছে? শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারণরোগটি! জানুন
advertisement
নিয়মিত ব্যথা-বেদনা:
দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকলেও অনেক সময় মাথা কিংবা চোখে ব্যথা দেখা দেয়। আবার কিছু কিছু সময় চোখে ক্লান্তি অনুভূত হয়। এমন সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মাঝে-মধ্যেই মাথা ব্যথা কিন্তু চোখের উপর চাপের কারণেও হতে পারে।
ডায়াবেটিস থাকলে:
ডায়াবেটিস রোগের প্রভাব পড়ে চোখের উপরেও। যা নানা রকম জটিলতা তৈরি করতে পারে। এমনকী রোগী অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারেন। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হল চোখের একটি অবস্থা, যেখানে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে দৃষ্টিহীনতা এবং অন্ধত্বের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ এই রোগ রেটিনার রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয়। তাই যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের বছরে এক বার চোখ পরীক্ষা করা উচিত। যদিও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ক্ষেত্রে প্রথমে উপসর্গ দেখা যায় না, তবে এটা তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে দৃষ্টিশক্তি বাঁচানো যাবে।
আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘরে ঘুমনোর দারুণ কিছু উপকারিতা রয়েছে! জানলে চমকে যাবেন
চোখ দিয়ে জল পড়া কিংবা চোখ লাল হয়ে যাওয়া:
এই সমস্যার নানা কারণ থাকতে পারে। এটা ধুলো থেকে অ্যালার্জির কারণে কিংবা কনজাংটিভাইটিসের মতো চোখের সংক্রমণের কারণে চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে। আর চোখও লাল হয়ে যায়। এটা মূলত কর্নিয়ার সংক্রমণ থেকেই হয়ে থাকে।
চোখের রোগের পারিবারিক ইতিহাস:
অনেকেরই জিনগত ভাবে চোখের রোগ হয়ে থাকে। আর এই সব রোগের মধ্যে অন্যতম হল রেটিনোব্লাস্টোমা এবং গ্লকোমা। তাই পরিবারের কারওর এই রোগ আছে কি না, সেটা জেনে নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি। উপসর্গের দিকেও নজর দিতে হবে।
এই সব সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য যে কোনও বয়সেই চোখ পরীক্ষা করানো আবশ্যক। অর্থাৎ পুরো স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।