কিছু ক্ষেত্রে নতুন মায়েদের শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি স্তনদুগ্ধ উৎপন্ন হয় ৷ তার ফলেও ব্যথা অনুভূত হয় ৷ তবে এই কারণে ব্যথা হলে তিন মাসের মধ্যে তা ধীরে ধীরে কমে যায় ৷ যদি শিশুকে ঠিকমতো ব্রেস্টফিডিং করানো হয়, তবে এই ব্যথা কমে যাওয়ার কথা তাড়াতাড়ি ৷ কিন্তু শিশুকে ফিড করানো যদি কোনও কারণে না হয়, তাহলে কিন্তু এই ব্যথা থাকবেই এবং ক্রমশ বাড়তে থাকবে ৷
advertisement
আরও পড়ুন : মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কৃতজ্ঞতা, আধিকারিককে শুঁড়-আলিঙ্গন হস্তীশাবকের
ম্যাস্টাইটিস হল এক ধরনের পরিস্থিতি যার ফলে স্তনদুগ্ধ ঠিকমতো বাইরে বেরিয়ে আসে না ৷ এর ফলে স্তনের অংশ ফুলে ওঠে এবং মিল্ক ডাক্টগুলি আটকে যায় ৷ যদি শিশুকে স্তনপান করানোর পরও ব্যথা রয়ে যায়, তাহলে বরফ বা উষ্ণ জলে মালিশ করুন ৷ বাড়তি স্তনদুগ্ধ বার করে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ব্রেস্টপাম্পও ৷
আরও পড়ুন : ওয়ালেট খুইয়েও খাবার ডেলিভারি কর্মীর,‘নিষ্ঠা’ ঘিরে দ্বিখণ্ডিত ট্যুইটার
অনেক সময় সদ্যোজাতর মুখের ভিতরে বা মায়ের স্তনের নিপলে ‘থ্রাশ’ সংক্রমণ দেখা যায় ৷ যদি শিশুর কোনও অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স চলে, তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে ৷ অনেক সময় সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মায়ের ঋতুচক্র শুরু হলে স্তনে ব্যথা হয় ৷ এ সময়ে অন্তর্বাস ঠিকমতো পরা হয় না বলেও এই ব্যথা হতে পারে ৷
এই ব্যথা থেকে মুক্তির সহজতম উপায় হল প্রতি দু’ঘণ্টা পর পর সন্তানকে স্তন্যপান করানো ৷ নির্দিষ্ট সময়ে ব্রেস্ট মাসাজও করতে হবে ৷ ব্যথা থেকে সাময়িক আরাম পেতে ব্যবহার করতে পারেন ওয়ার্ম ওয়াটার ব্যাগ ৷