প্রায় ৩০০ বছর আগে বর্ধমান থেকে বাঁকুড়ার হদল গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন মুচিরাম ঘোষ। ওই গ্রামে নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়, ফলে সেখান থেকে নারায়ণপুর গ্রামে গিয়ে ফের বসতি স্থাপন করেন মুচিরাম। সেখানে শুভঙ্কর আচার্য নামের এক ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসেন। তিনি মুচিরাম ঘোষকে নিয়ে যান বিষ্ণুপুরের ততকালীন মল্ল রাজার কাছে। সেখানে মুচিরামকে মল্ল রাজা বেশ কিছু জমি দান করেন। তার পর থেকেই তিনি জমিদারি প্রথা শুরু করেন । মুচিরাম ঘোষের জমিদারি চলাকালীন ওই নারায়ণপুর গ্রামে বেশ কিছু নীলকুঠি ছিল। ইংরেজদের আমলে সেখানে নীল চাষ হত।
advertisement
এক সময় নীল বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে দুর্গাপুজো শুরু হয়। তখন থেকেই এই নারায়ণপুর জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। এখন বিশাল জাঁকজমকভাবে এই পুজো হয়। এখানে ভিন রাজ্য-সহ বিদেশ থেকেও ভক্তরা আসেন। পুজোর পাঁচটা দিন এখানে ভক্তদের জন্য থাকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। এখানে পুজো, গোস্বামী মতে হয়। পাঁচ দিন নিরামিষ খাবার। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল, মাকে যখন বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখন বাড়ির পুরুষেরা মাকে বরণ করেন। এই নিয়ম-নীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে নারায়ণপুর জমিদার বাড়িতে।