তাই পুষ্টিবিদরা বলছেন এই সাদা চিনির বদলে অন্য কয়েকটি জিনিস খেতে। পুজোর ৫ দিন সাদা চিনির বিকল্প হতে পারে কোন ৫ জিনিস, তার তালিকা নিচে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: সাদা খাতা জমা দিয়ে রাজ্যের স্কুলে চাকরি পেয়েছেন ৮১৬৩ জন, সিবিআইয়ের রিপোর্টে চাঞ্চল্য
স্টেভিয়া
স্টেভিয়া হল প্রাকৃতিক চিনি যা স্টেভিয়া গাছের পাতা থেকে তৈরি হয়। এটিতে কোনও ক্যালোরি নেই এবং এটি চিনির চেয়ে অনেক বেশি মিষ্টি। স্টেভিয়া গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধি রোধ করা যায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্টেভিয়া দুর্দান্ত কাজ দেয়।
advertisement
খেজুর
খেজুর হল অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক মিষ্টি। এটি ফ্রুক্টোজের একটি উৎস, যার অর্থ এটি ফলের মধ্যে পাওয়া একটি প্রাকৃতিক ধরনের চিনি। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পুষ্টি উপাদান, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা শরীরে প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এগুলি কেবল পুষ্টিকর নয়, সুস্বাদুও, যার মানে এটি খাদ্যতালিকায় থাকলে স্বাদের সঙ্গে অন্তত কোনও আপোস করার দরকার হবে না।
আরও পড়ুন: চতুর্থীতেই জনজোয়ারের সম্ভাবনা, ভিড় সামলাতে বিশেষ ভাবনা কলকাতা পুলিশের
মধু
মধু ক্যালোরি সমৃদ্ধ এবং এতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, বি১, বি২, বি৩, বি৫ এবং বি৬-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে। এটিতে চিনির তুলনায় কম জিআই মান রয়েছে এবং এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পলিফেনলের মতো মধুর যৌগ শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি ফাঙ্গাস এবং অবাঞ্ছিত ব্যাকটেরিয়াও দূর করতে পারে। যেহেতু মধু খুব মিষ্টি, তাই সাদা চিনির তুলনায় এটি কম প্রয়োজন হতে পারে। কাশি ও গলা ব্যথা কমাতে এই ঋতু বদলের মরশুমে মধু খেতে পারি আমরা।
গুড়
গুড়ে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। এছাড়া এটি ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং এর পটাসিয়াম ওয়াটার রিটেনশন রোধ করে।
ব্রাউন সুগার
সাদা চিনির তুলনায়, বাদামি চিনি বা ব্রাউন সুগারের ক্যালোরি কম। এতে ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ফসফরাস, কপার এবং ভিটামিন বি৬-এর মতো বিভিন্ন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, যা সুস্থ শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাউন সুগারে উপস্থিত গুড় মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।