ছেলেরা বাথরুমে ফোন নিয়ে বসে থাকেন কেন? দেখে নিন গবেষণার বক্তব্য আপনার জীবনের সঙ্গে মিলছে কি না

বাথরুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানোর জন্য অনেক সময়েই অভিযোগ তোলা হয় নারীদের দিকে। খুব সাধারণ তত্ত্ব এই যে তাঁরা জল ঘাঁটতে ভালবাসেন, সেই জন্যই স্নানে অনেকটা সময় লেগে যায়। ব্যতিক্রমী পুরুষ যে নেই, তা নয়।

তবে, স্নানে সময় না নিলেও ফোন হাতে বাথরুমে টয়লেট সিটে চুপচাপ বসে সময় কাটানোর মতো পুরুষের সংখ্যা কিন্তু খুব একটা কম নয়। কী করেন তাঁরা, কেনই বা এই সময়টা তাঁদের দরকার হয়, জবাব দিচ্ছে এক গবেষণা।

স্বঘোষিত 'বাথরুম বিশেষজ্ঞ' পেবল গ্রে ২০১৮ সালের গবেষণাটি চালিয়েছিলেন। তা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এখানে ১,০০০ ব্রিটিশ পুরুষের উপর জরিপ চালিয়ে দেখা গিয়েছে যে, পুরুষরা বছরে গড়ে সাত ঘণ্টা বাথরুমে কাটান, বিশেষ করে তাঁদের পরিবার থেকে পালানোর জন্য।

"আমাদের সকলেরই নিজেদের জন্য একটু সময় প্রয়োজন- নিজেদের অবস্থা বুঝে নেওয়ার জন্য অথবা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্নতার জন্য", পেবল গ্রে-এর একজন মুখপাত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-কে বলেন। "বাথরুমটি তার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে নগরজীবনে জায়গা করে নিয়েছে। এটি আসলে একটি আশ্রয়স্থল, যেখানে আমরা বাইরের জগৎ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে পারি, যদিও সাময়িকভাবে", তিনি আরও বলেন।

পুরুষরা তাই কাজ এড়াতে এবং নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অনেকটা সময়েই ফোন নিয়ে সময় কাটাতে বাথরুমে যান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গড়ে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন বাথরুমে যাওয়ার সময় বাধাগ্রস্ত হয়, বছরে প্রায় ১৭১টি এমন বাধার মুখে পড়ে।

এই সার্ভেতে আরও দেখা গিয়েছে যে ২৫ শতাংশ পুরুষ মনে করেন যে বাথরুম ব্রেক না নিলে তাঁরা কীভাবে সংসারে মানিয়ে নেবেন তা বুঝতে পারেন না এবং ২৩ শতাংশ পুরুষ বাথরুমকে নিজেদের জন্য নিরাপদ স্থান হিসাবে বর্ণনা করেন।

এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ স্বীকার করেছেন যে তাঁরা চুপচাপ সময় কাটাতে বাথরুমে যান, বিশেষ করে যখন তাঁদের সঙ্গিনী অভিযোগ করেন, শিশুদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাও থাকে।

গবেষণাটি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। পেবল গ্রে আরও দেখেছেন যে সার্ভেতে অংশগ্রহণকারী ১,০০০ জনের মধ্যে মহিলারাও বাথরুমকে আশ্রয়স্থল হিসাবে ব্যবহার করেন, কিন্তু এক্ষেত্রে সংখ্যাটা তুলনায় কম, মাত্র ২০ শতাংশ তা করেন। করবেনই বা কী করে- ৭২ শতাংশ পরিবারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নারীরাই যে পালন করেন!