তবে আলপনা দেওয়ার কিছু নিয়ম আছে। সেগুলো শিখে নিলেই ব্যাপারটা হাতি-ঘোড়া কিছু নয়, এক-দুই টানের পর থেকেই সব নকশা একেবারে খাপে খাপে ফুটে উঠবে।
আরও পড়ুন: ঘরে থাকা এই খাবারে হু হু করে ওজন কমবে, একবার পরীক্ষা করেই দেখুন না!
১. বাঙালির আলপনা কিন্তু সর্বভারতীয় রঙ্গোলির চেয়ে আলাদা। রঙ্গোলিতে নানা উজ্জ্বল রঙ আর ফুলের প্রাধান্য, এখানে শুধুই সাদা রঙ আর নকশার।
advertisement
২. সেই সাদা রঙ তৈরি করতে হয় চাল ভিজিয়ে। একটু মোটা দানার সস্তা চাল ভিজিয়ে রেখে গ্রাইন্ডারে পিষে নিতে হবে, গোলা রঙের মতো ঘন হবে সেটা। চাইলে দোকান থেকে সাদা রঙ কিনেও নেওয়া যায়।
৩. এবার আলপনা দেওয়া শুরু করতে হবে। নকশা কেমন হবে? সেটা ঠিক হবে জায়গা বুঝে। যেমন, দরজার কাছে শঙ্খ বা লতা। আবার পুজোর ঘরে বা বসার ঘরের মাঝখানে বড় বা ছোট গোল আলপনা। থালা বসিয়ে তার চারপাশ দিয়ে রঙ টেনে গোল করা যায়। এবার সেই গোলের বাইরের দিকে গা বেয়ে ছেড়ে ছেড়ে পদ্মের পাপড়ি করে, পাপড়ির সূচালো কোণে একটা করে বিন্দু বসিয়ে দিলেই সহজ সরল মনকাড়া আলপনা দেওয়া হয়ে যাবে। লতার নকশা চাইলে একটা বক্ররেখা করে দুই ধারে অল্প ছেড়ে পাতা এঁকে দিলেই হয়।
আরও পড়ুন: শসা হজম হতে সময় নেয়, আপনি কি রোজই শসা খান? কী সমস্যা হতে পারে জানুন
৪. আলপনার রঙ সাবেকি পদ্ধতিতে তৈরি করলে তা গড়িয়ে যাওয়ার একটা ভয় থাকে। তাই চালবাটা যতটা হবে, তার এক চতুর্থাংশ জল নিলেই যথেষ্ট।
৫. চৌকাঠে লতার নকশা ছাড়া আর কিছু মানায় না, এক্ষেত্রে চৌকাঠের উপরেই তা দেওয়া যেতে পারে।
৬. শঙ্খ নকশা কঠিন কাজ মনে হলে কলকা করা যাক, তেমন কিছু ঝক্কি নেই, স্রেফ একটু বড় করে একটা বাংলার পাঁচ (৫) এঁকে মুখটা একটু সূচালো করে তার পর বিন্দু বসাতে হবে। এবার কলকার গা বেয়ে চন্দন পরানোর মতো আরও কয়েকটা বিন্দু ছেড়ে ছেড়ে বসানো যায়, দেখতে সুন্দর লাগবে।
৭. তবে হ্যাঁ, চৌকো বা ত্রিভুজ আলপনা না করাই ভাল- ওটা সাবেকি নয়। পুজোয় যখন নিয়ম ভাঙি না আমরা এক্ষেত্রে কেন করতে যাব!
