পাত আলো করে থাক পাঁঠার মাংসের নানা পদ:
সরু চালের সাদা ঝরঝরে ভাতের পাতে অল্প একটু ঘি আর তার সঙ্গে বড় বড় আলু দিয়ে কচি পাঁঠার ঝোল। আহা! এ-যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি! ছিমছাম ভাবে এই উপায়ে পাত সাজিয়ে নিতে পারেন। খাটনিও তেমন হবে না। তবে অবশ্যই শেষ পাতে যেন থাকে চাটনি আর মিষ্টি। কলাপাতা কিংবা পদ্মপাতায় ভাত আর কচি পাঁঠার ঝোল খেতে কিন্তু অসামান্য লাগবে।
advertisement
তা-ছাড়া মাটি কিংবা কাঁসার থালা-বাটিতে সাজিয়ে নিতে পারি আমরা বাসন্তী পোলাও আর কষা মাংস। এমনিতে বাসন্তী পোলাও আর কষিয়ে রাঁধা পাঁঠার জুটি তো সব সময়ই চিত্তাকর্ষক! আবার যদি পাঁঠার মাংসের নানা রকম পদ দিয়ে পাত সাজিয়ে তুলতে চান কেউ, তা-হলে ঝরঝরে সুগন্ধী চালের সাদা ভাতের সঙ্গে রাখতে পারেন পাঁঠার মাংসের দোরমা আর মাংসের দইবড়া। তবে এ-ক্ষেত্রে কিন্তু শো-স্টপার হবে নানা রকম শাহি মশলা দিয়ে তৈরি খাসির গড়গড়া আর কাজুবাদাম ও দুধের সর-সহযোগে রাঁধা পাঁঠার গোরা কালিয়া।
এ-ছাড়াও ট্রাই করা যেতে পারে পাঁঠার মাংসের ভুনা। তবে পুজোর দিনের জন্য স্পেশাল মাটন রেসিপি নিরামিষ পাঁঠার মাংসও বানিয়ে নিতে পারি আমরা। পিঁয়াজ আর রসুন না-দিলেও এই মাংসের স্বাদ যেন লেগে থাকবে মুখে! আবার নতুন কিছু এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইলে তৈরি করে নিতে পারেন ফুলকপি দিয়ে পাঁঠার মাংস। অনেকে আবার পুজোর দিনগুলোতে খিচুড়ি খেতেই বেশি পছন্দ করেন, তাই তাঁরা ট্রাই করতে পারেন পাঁঠার মাংসের খিচুড়ি।
চিকেন প্রেমীদের জন্যও রইল পাত সাজানোর উপায়:
আসলে এমন অনেকে আছেন, যাঁরা মাটনটা এড়িয়েই চলেন। আবার অনেকের অসুস্থতার কারণে রেড মিট খাওয়ারও উপায় নেই। সে-ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য চিকেনটাই একটা নিরাপদ বিকল্প। তাই তাঁদের জন্য রইল মুরগির নানা পদ দিয়ে পাত সাজানোর আইডিয়া। আমরা সাধারণ ভাবে ব্রয়লার চিকেনই খেয়ে থাকি। তাই এ-দিনটা একটু অন্য রকম করার জন্য ট্রাই করতে পারি দেশি মুরগির ঝোল।
সাদা সুগন্ধি চালের জুঁইফুল ভাতের সঙ্গে বানিয়ে ফেলতে পারি দেশি মুরগির ঝোল কিংবা কষা। তবে দেশি মুরগির লাল ঝোলই কিন্তু সবথেকে ভাল লাগে। এ-ছাড়াও পাত সাজানো যেতে পারে গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে মাংসের নানা পদে।
মুরগির মাংসের ছোট্ট ছোট্ট পকোড়া, চিকেন কোর্মার মতো পদ ভাতের সঙ্গে কিংবা বাসন্তী পোলাওয়ের সঙ্গেও অসাধারণ যায়। এ-ছাড়াও ট্রাই করা যেতে পারে গন্ধরাজ মুরগিও। যদিও আজকাল বাজারে যা গন্ধরাজ ট্রেন্ড চলছে! তবে একটা কথা বলতে পারি, এই গন্ধরাজ মুরগি কিন্তু তার থেকে একেবারেই আলাদা! গন্ধরাজ লেবু গাছের পাতা এবং লেবু ব্যবহার করে তৈরি সাদা গ্রেভির মাংস আর তার মধ্যে থেকে বেরোনো গন্ধরাজ লেবুর সুবাস - আহা! জিভে জল চলে আসে!
বিরিয়ানি-চাঁপের শাহি খানা:
বিরিয়ানি কিন্তু কোনও ভাবেই বাঙালি খাবার নয়। কিন্তু এই খাবার বহু আগেই দিব্যি জায়গা করে নিয়েছে বাঙালির স্বাদকোরকে! আলু দেওয়া কলকাতা বিরিয়ানিই যেন হয়ে উঠেছে একটা কিংবদন্তী। আর বাঙালিদেরও বোধহয় কলকাতা বিরিয়ানি ছাড়া অন্য কোনও বিরিয়ানি মুখে রোচে না! তাই নবমীর দিন পাত সাজাতে পারি আমরা মাটন বিরিয়ানি আর চিকেন চাপে।
ছিমছাম অথচ শাহি এই খাবারের সঙ্গে অবশ্যই থাকবে রায়তা। আর মিষ্টিমুখ হবে শাহি টুকরা আর ফিরনি দিয়ে। শুধু বিরিয়ানিই নয়, বাঙালির খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কাশ্মীরের রোগান জোশও। তাই স্বাদ পাল্টাতে কাশ্মীরি ইয়াখনি পোলাওয়ের সঙ্গে ট্রাই করতে পারি আমরা মাটন রোগান জোশও। এক্কেবারে জমে যাবে পুজোর পেটপুজো!