একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, যে এই অঞ্চলের শিশুরাও হাঁপানির কারণে সর্বোচ্চ ছুটি নিয়েছে। লখনউতেও দেখা গিয়েছে একই সমস্যা। লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে অর্থাৎ কেজিএমইউতে প্রায় হাঁপানি রোগের চিকিৎসা করাতে আসেন বহু শিশু।
আরও পড়ুন: ১ মাসেই কোমর পর্যন্ত পৌঁছবে চুল! এই ফলের মাস্কেই মিলবে এক মাথা ঘন কেশ
advertisement
ভারতে হাঁপানি বৃদ্ধির প্রধান কারণ বায়ু দূষণ। কেজিএমইউ-এর পালমোনারি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান বেদ প্রকাশ জানান, "দেশের এক গবেষণা অনুযায়ী, হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীদের মাত্র পাঁচ শতাংশই সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পাচ্ছেন। শিশুর অ্যাজমা অ্যাটাক হলে অভিভাবকরা অত্যন্ত সমস্যায় পড়েন। শিশুরা স্কুলে গেলেও অভিভাবকদের খুব সতর্ক থাকতে হয়। গ্লোবাল অ্যাজমা রিপোর্ট ২০১৮ অনুসারে, প্রায় ৬.২ শতাংশ ভারতীয় হাঁপানিতে আক্রান্ত। এই সংখ্যার প্রায় ২ থেকে ৩ শতাংশ শিশু। ভারতে অ-সংক্রামক কারণে মৃত্যুর ১০ তম কারণ হল হাঁপানি।"
চিকিৎসক আরও জানান যে, " এ বছর বিশ্ব অ্যাজমা দিবসের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে অ্যাজমা কেয়ার ফর অল। হাঁপানির জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে যা এই রোগ নির্ণয় করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ওষুধের পাশাপাশি হাঁপানি রোগীদের ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। অ্যাজমা রোগীদের বিশেষ করে ধোঁয়া ও ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে।"
শ্বাসকষ্ট, কাশি, পাঁজরে ব্যথা, বুকে চাপ চাপ ভাব অনুভূত হওয়া হল এই রোগের প্রধান উপসর্গ। জিনগত কারণে অ্যাজমা রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া পরিবেশ দূষণ ও ভাইরাল ইনফেকশন হল হাঁপানির অন্যতম কারণ।