যোধপুর: রাজস্থানের রাজকীয় খানাপিনার কথা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না! এদিকে রাজস্থানের সাংস্কৃতিক রাজধানী সূর্যনগরী যোধপুরের খাবারের তো জগৎজোড়া সুনাম রয়েছে। আসলে এখানে যে পরিমাণ কের বিক্রি হচ্ছে, তা রীতিমতো অবাক করার মতো। আসলে দেশের অন্যান্য প্রান্তের মানুষ তো বটেই, বিদেশে বসবাসকারীরাও এখানকার ‘কের’ অর্ডার করছেন। এখন যোধপুরে গেলে দেখা যাবে, রাস্তার ধারে ধারে বিক্রি হচ্ছে কের। শুধু তা-ই নয়, ঠেলা-চালকরাও অলি-গলি ঘুরে ঘুরে এই কের বিক্রি করছেন। এই সবজিটি কিন্তু অত্যন্ত দামি। একে অনেকেই ‘রাজস্থানের ড্রাই ফ্রুট’ বলেও ডাকেন। যোধপুরের বাসিন্দারাও ঠেলা-চালক কিংবা রাস্তার ধারের বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে কের কিনছেন।
advertisement
আর বিপুল পরিমাণে এটি বিক্রির পিছনেও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। প্রথমত এই সবজি কিংবা তার থেকে তৈরি আচার ১২ মাস ধরে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে। কারণ তা একেবারেই নষ্ট হয় না। আর সবথেকে বড় কথা হল, বিদেশি পর্যটকদেরও পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে এই সবজি। ফলে তাঁরাও দেদার কিনছেন। আসলে বহু মানুষ কের-এর আচার খুব পছন্দ করেন। আর এই আচার আবার স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপযোগী। বলা ভাল, গ্রীষ্মের তাপদাহে শরীর ঠান্ডা রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার!
কের সবজির আচারের স্বাদই অতুলনীয়:
এটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না যে, ইতিমধ্যেই দেশের শহুরে এবং গ্রামীণ এলাকায় এই কের সবজির চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, বিদেশেও আজকাল কের সবজির চাহিদা তুঙ্গে। পশ্চিম রাজস্থান ছাড়াও সেই রাজ্যের অন্যান্য অনেক জেলাতেই কের সবজির ফলন দেখা যাচ্ছে। আর ছোট্ট ছোট্ট সবুজ এই সবজি থেকে তৈরি আচারের স্বাদও দেশ-বিদেশের মানুষ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন। কের সবজির তরকারি কিংবা আচার আগে গ্রামের মানুষের পাতেই স্থান পেত। কিন্তু আজকালকার দিনে শহরাঞ্চলের মানুষের পাতে এমনকী বড় বড় হোটেলের মেন্যুতেও তা ঠাঁই পেয়েছে।
কের সবজির দাম:
এই তেতো সবজি থেকে তৈরি তরকারির স্বাদ অতুলনীয়। এমনকী, রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী পরম্পরাগত পদগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। আসলে পশ্চিম রাজস্থানের বালিয়াড়ি এবং অনুর্বর জমিতেই জন্মায় কের গাছ। গ্রীষ্মের মরশুমে কের গাছের ঝোপ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। মাত্র ২ মাসের জন্যই কের সবজির ফলন দেখা যায়। বর্তমানে বাজারে এর চাহিদা তুঙ্গে থাকায় এই সবজি কেজি প্রতি ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।