কলা একটি সুস্বাদু ফল, যা ছোট-বড় সবাই খুব পছন্দ করে। শিশুরাও এটি বেশ আনন্দের সঙ্গে খায়। কলা নরম, মিষ্টি ও শক্তিতে ভরপুর একটি ফল, এবং এটি হজম করাও সহজ। বছরের সব ঋতুতেই কলা পাওয়া যায়। অনেকেই সকালের জলখাবারে কলা খেতে পছন্দ করেন এবং কেউ কেউ এটি দুধের সঙ্গে খেয়ে থাকেন। ধারণা করা হয়, কলা খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে জল খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? চলুন, এই বিষয়ে আসল তথ্য জেনে নিই।
advertisement
আরও পড়ুন: শরীরের দারুণ কাজের এই জিনিস! নিয়ম মেনে খেলেই ঝকঝকে থাকবে লিভার, দূর হবে ফ্যাটি লিভার…
আয়ুর্বেদের মতে, কলা একটি ঠান্ডা প্রকৃতির ফল এবং এটি খেলে শরীরে শীতলতা আসে। এতে পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি-র মতো পুষ্টিগুণ থাকে। তবে এর ঠান্ডা স্বভাব হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। বিশেষ করে, কলা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল খাওয়া হলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কলায় প্রাকৃতিক চিনি এবং ফাইবার থাকে, যা হজম করতে শরীরের সময় লাগে। আর কলার পর জল খাওয়া হলে গ্যাস, পেট ফোলা, অজীর্ণতা বা গলার সমস্যা হতে পারে। আয়ুর্বেদের মতে, এই কম্বিনেশন স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ।
আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যায়, কলা খাওয়ার পর জল খাওয়ায় কোনো বড় বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে যাদের হজমতন্ত্র দুর্বল বা স্পর্শকাতর, তাদের ক্ষেত্রে এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন, কলা খাওয়ার অন্তত ২০-৩০ মিনিট পর জল পান করা উচিত, যাতে হজম ভালোভাবে হতে পারে। যাঁদের ঠান্ডা-কাশির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের তো একেবারেই এই কম্বিনেশন এড়ানো উচিত। আর যদি খুব তৃষ্ণা পায় এবং জল খেতেই হয়, তাহলে গরম জল খাওয়াই ভালো। এতে হজমতন্ত্রে চাপ পড়ে না এবং গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুন: এই ৫ মারাত্মক অভ্যাসের কারণেই বলি হচ্ছে আপনার পুরুষত্ব! জীবন থেকে না ছাঁটলে ভয়ঙ্কর বিপদ…
কলা খাওয়ার উপকারিতার কথা বললে, এটি হজম শক্তি উন্নত করে এবং হাড়কে মজবুত করে। কলা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি থাকে, যা High Blood Pressure নিয়ন্ত্রণে রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে ও পেশীর খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে। কলা তৎক্ষণাৎ শক্তি দেয়, তাই ওয়ার্কআউটের আগে বা সকালের নাশতায় এটি খাওয়া অত্যন্ত লাভজনক।