তবে দোকান থেকে যতই কেনা হোক, বাড়ির তৈরির মিষ্টির স্বাদই আলাদা। ফোঁটা দিতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি আসেন বোনেরা। কোমরে শাড়ি পেঁচিয়ে ঢোকেন রান্নাঘরে। ভাইয়ের জন্য নিজে হাতে অন্তত একটা মিষ্টি বানাতেই হয়। অনেকে পায়েসও করেন। তবে ভাইফোঁটায় পায়েস না করে ‘দুধ পাক’ করা যায়। এটা গুজরাতি মিষ্টি। পায়েস বরং তোলা থাক জন্মদিনের জন্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: দীপাবলির মিষ্টিমুখ; রোশনাইয়ের রাতে স্বাদের আলো জ্বালুক হিরণ্যগর্ভ দধিমঞ্জরী!
দুধ পাক হালকা ঘন মিষ্টি। পায়েসের মতোই, কিন্তু পায়েস নয়। এতে ব্যবহৃত উপাদান পুষ্টিকরও বটে। পায়েসের মতো এটাও চাল দিয়েই তৈরি হয়। তবে আরও অন্যান্য উপাদানও লাগে। স্বাদেও অন্যরকম। দেখে নেওয়া যাক বাড়িতে ‘দুধ পাক’ তৈরির পদ্ধতি।
দুধ পাক তৈরি করতে যা যা লাগবে: ১ লিটার দুধ, ১ চা চামচ চাল, ১ টেবিল চামচ ঘি, ১/২ কাপ চিনি, ১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো, জাফরান, বাদাম এবং কুচো করে কাটা পেস্তা।
দুধ পাক তৈরির রেসিপি: দুধ পাক তৈরি করতে প্রথমে চাল ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার ছেঁকে নিয়ে তাতে মেশাতে হবে ঘি। খেয়াল রাখতে হবে চালে যেন জল লেগে না থাকে। ঘি মেশানো চাল একটা পাত্রে রাখা থাক। এবার এক টেবিল চামচ হালকা গরম দুধে জাফরান মিশিয়ে নিতে হবে। এবার একটা বড় পাত্রে দুধ নিয়ে অল্প আঁচে ফোটানো শুরু করতে হবে। দুধ যতক্ষণ না ফুটতে শুরু করে ততক্ষণ নেড়ে যেতে হবে টানা। ১৫ মিনিট মতো দুধ ফোটানোর পর তাতে ঢেলে দিতে হবে ঘি মেশানো চাল। একটা হাতা দিয়ে দুধের সঙ্গে ভাল করে ঘেঁটে নিতে হবে। অন্তত ২৫ মিনিট অল্প আঁচে চাল ফুটুক। দুধ মাঝে মধ্যে নাড়তে হবে। না হলে চাল লেগে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ফোঁটায় ভাইয়ের মিষ্টির থালা সাজান রাশি অনুয়ায়ী, রসনা তৃপ্তি তো হবেই, চিরস্থায়ী ঠাঁই নেবেন মা লক্ষ্মীও
এবার এতে জাফরান-দুধের মিশ্রণ, এলাচ গুঁড়ো ও চিনি দিতে হবে। ভাল ভাবে মিশিয়ে নিয়ে আরও ১৫ মিনিট ফোটাতে হবে। চিনি গুলে যাবে। চাল সেদ্ধ হয়ে গেলেই দুধ পাক প্রস্তুত। এবার বাদাম পেস্তা দিয়ে গার্নিশ করে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।