স্বাস্থ্যকর এবং ন্যায়সঙ্গত সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য নির্মিত হয়েছে বাম্বল ব্লুম। এটি অনলাইন ট্রমা কেয়ার প্রোগ্রাম। থেরাপিস্টদের সাহায্যে সহায়তা দেওয়া হয়। বাম্বল ব্লুমের পাঠ্যক্রম এখন ভারতেও পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্ট দেখিয়েছে ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন এর ইতিবাচক প্রভাব তাঁদের জীবনে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তমীতে বড় চমক গৌরব-ঋদ্ধিমার, সামনে আনলেন ছেলেকে, নাম জানেন?
advertisement
গার্হস্থ্য হিংসা এক ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি। এথেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল সচেতনতা। এর রূপ এতই ঘরোয়া যে বেশির ভাগ শিকার তা বুঝেই উঠতে পারেন না। পারলেও মুখ ফুটে অন্যকে বলতে পারেন না, কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সামাজিক ও পারিবারিক সম্মান। সাধারণত মহিলারাই এই ধরনের অত্যাচারের মুখে পড়েন বেশি। তবে বহু পুরুষও নির্যতনের শিকার হন।
আরও পড়ুন: এআর রহমানের ‘আসল’ নাম জানেন? দীর্ঘদিনের সঙ্গীর চমকে দেওয়া দাবি
দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে করতে মানসিক ও শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। অনেকে বেছে নেন আত্মহত্যা বা অন্য কোনও ভুল পথ। এথেকে মুক্তির একমাত্র উপায় বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা।
কীভাবে বোঝা যাবে সম্পর্ক বিষাক্ত বা বলা ভাল গার্হস্থ্য হিংসার চিহ্ন গুলো কী কী? জানালেন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ রুচি রুহ—
১. অপদস্থ করা—
এক্ষেত্রে সাধারণত প্রকাশ্যে অপদস্থ করার একটা প্রবণতা থাকে। মনে হতে পারে কেউ অন্যকে নিয়ে মজা করছেন। কিন্তু তা নিতান্তই সাধারণ মস্করা নয়।
২. পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া—
ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমনটা প্রায়ই দেখা যায়। একজন অন্যজনের উপর কর্তৃত্ব করতে চেষ্টা করেন। এমনকী উল্টোদিকের মানুষটার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন যে তিনি তাঁর পরিবারে বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা—
গার্হস্থ্য হিংসার অন্যতম লক্ষণ হল, কোনও ব্যক্তিকে তার নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধা দেওয়া।
৪. দোষারোপ করা—
অনেক সময়ই অকারণ দোষারোপ করা হয় অপর পক্ষের উপর। এটা অবশ্যই গার্হস্থ্য হিংসার প্রকাশ। এমনকী যা ঘটেনি, তাও ঘটেছে বলে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়াও কিছু কিছু বিষয় লক্ষ্য করা যেতে পারে—
১. এমন ভাবে কেউ তাকানো যাতে কোনও মানুষ ভয় পেয়ে যান।
২. কাজকর্ম, যাতায়াতের উপর নিয়ন্ত্রণ তৈরি করা।
৩. টাকাপয়সা কেড়ে নেন বা হাতখরচের টাকা না দেওয়া।
৪. কাজে যেতে না দেওয়া।
৫. অপবাদ দেওয়া।
৬. কারও সম্পত্তি নষ্ট করা বা প্রিয় পোষ্যের ক্ষতি করার ভয় দেখানো।
৭. ধাক্কা দেওয়া, চড় মারা, গলাটিপে ঘরা, মারধর করা।
৮. অভিযোগ জানাতে না দেওয়াও গার্হস্থ্য হিংসার অন্তর্গত।