লালা লাজপত রাই মেডিক্যাল কলেজের পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের প্রধান ডা. নবরত্ন গুপ্তা বলেন, একটি শিশু যখন জন্ম নেয়, তখন অনেক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তিনি আরও বলেন, “প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে এমন একটি শিশুর জন্ম হয়, যার মধ্যে হিমোফিলিয়া নামক মারাত্মক রোগ দেখা যায়। আসলে আমাদের শরীরে মোট ১৩টি ফ্যাক্টর রয়েছে। ৮ এবং ৯ ফ্যাক্টরের অভাবের কারণে শিশুদের শরীরে হিমোফিলিয়া রোগটি পরিলক্ষিত হয়। শিশুদের এই রোগের চিকিৎসা শৈশব থেকেই শুরু হলে ফ্যাক্টরের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ হয়। যার কারণে সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।”
advertisement
ডা. নবরত্ন গুপ্তার ব্যাখ্যা, এই ফ্যাক্টরগুলি ভারত সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে। বর্তমানে এই ধরনের ৭০টি শিশুর নাম মেডিক্যাল কলেজে রেজিস্টার্ড রয়েছে, যাদের হিমোফিলিয়ার চিকিৎসা চলছে। তাঁর কথায়, কারও যদি হিমোফিলিয়া নামক মারণ রোগ থাকে, তাহলে তিনি মেডিক্যাল কলেজে যোগাযোগ করতে পারেন। আসলে এই রোগের চিকিৎসা ব্যক্তিগত ভাবে করাতে গেলে তা ব্যয়বহুল হতে পারে। কারণ এক-একটি ফ্যাক্টরের মূল্য আট থেকে দশ হাজার টাকার মধ্যে।
লোকাল 18 এর সঙ্গে আলাপচারিতায় আবার রোগী রাজন চৌধুরী বলেন যে, তিনি হিমোফিলিয়া সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করছেন। আসলে ছোটবেলা থেকেই তিনি এই মারাত্মক রোগে ভুগছেন। এতে যে ব্যথা হয়, তা বেশ কষ্টকর। তাই সকলের কাছে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, যাঁদের এমন কোনও সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।