শুধু দিঘাই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরেও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। দর্শনার্থীরা রাতে পুজো দেখতে বেরিয়ে যাতে দিকভ্রষ্ট না হন বা যানজটে না পড়েন, কাঁথি থানার পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হল দুর্গাপুজোর একটি গাইড ম্যাপ। শহরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস, কাঁথি থানার আইসি প্রদীপকুমার দাঁ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারাও। কাঁথি শহরে মোট ৪৩টি পুজো কমিটি রয়েছে। দর্শনার্থীরা যাতে সহজে প্রতিটি মণ্ডপে পৌঁছাতে পারেন, তার জন্য কোন পথে কোন মণ্ডপে যাওয়া যাবে, কোন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে—সব তথ্যই স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে ওই গাইড ম্যাপে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে এই গাইড ম্যাপ হাতে তুলে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: সবথেকে বড় দুর্গা! আগে কখনও হয় নি উত্তরবঙ্গে, এবারের পুজোয় বিরাট চমক নিয়ে হাজির ‘এই’ ক্লাব
প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর চারদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাঁথি শহরের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টোটো, অটো, ভারী যান ও চারচাকার প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া কোনও পুজোমণ্ডপে ডিজে বাজানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। মাইক বা সাউন্ড বক্স ব্যবহার করতে হলেও শব্দের মাত্রা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে হবে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক। পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে—নির্দেশিকা লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও পুজো উপলক্ষে স্থানীয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় একাধিক নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান রাস্তায় ও মোড়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরে প্রবেশ ও প্রস্থান করার জন্য বিকল্প রাস্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুল্যান্সও প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এ বছর দুর্গোৎসব উপলক্ষে দিঘা থেকে কাঁথি—সমগ্র উপকূলীয় এলাকায় দর্শনার্থীদের জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সেজন্য কড়া নিরাপত্তা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। দিঘার সমুদ্র সৈকত, নতুন জগন্নাথ মন্দির ও আকর্ষণীয় থিমে সেজে ওঠা পুজোমণ্ডপ একদিকে যেমন দর্শনার্থীদের আনন্দ দেবে, তেমনই পুলিশের এই বিশেষ উদ্যোগ তাদের ভ্রমণ ও দর্শনকে করবে আরও নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত।