আরও পড়ুন: বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় ২১ বছর পর আদালতের রায়, অবশেষে স্বস্তি মিলল স্বামীর
আন্তর্জাতিক ডায়বেটিস ফেডারেশনের একটি প্রোজেক্টে লক্ষ্য করে দেখা গিয়েছে যে, ভারতে ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৯৮ মিলিয়ন। এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে BeatO একটি পরীক্ষা চালায় ভারতের ডায়াবেটিস রোগীদের উপরে। সেই পরীক্ষায় তারা ব্যবহার করে ডিজিটাল সাপোর্ট যুক্ত রিয়েল টাইম সেলফ মনিটরিং সিস্টেম। যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নির্ধারণ করে। এই পরীক্ষা করা হয় প্রায় ৭,১১১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উপরে, যাদের বয়স ৫০ বছরেরও বেশি এবং যাঁরা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাঁদের ব্লাড সুগারের মাত্রা নির্ধারণ করার জন্য ব্যবহার করা হয় রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা ডিভাইস দ্বারা ডিজিটাল অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত। সেই রোগীদের ব্লাড সুগারের মাত্রা নির্ধারণ করার পর তাদের জন্য কাউন্সেলিং সেশনের ব্যবস্থা করা হয়। এই কাউন্সেলিং সেশনে তাদের জন্য নিয়ে আসা হয় এক জন সার্টিফায়েড এডুকেটর কোচ। এই ধরনের কাউন্সেলিং সেশনের পরে সেই সকল ডায়াবেটিস রোগীর ব্লাড সুগার লেভেলের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'টিপু' লড়বেন কোথা থেকে? মতামত দেবে আজমগড়ের জনতা
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের সেই প্রোজেক্টের মাধ্যমে BeatO-র কাউন্সেলিং সেশনে ৭৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীর সুগারের মাত্রা কমেছে। এই মেডিক্যাল রিসার্চ স্টাডি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নালে। এই মেডিক্যাল রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিভিন্ন নামী ডাক্তার। এই রিসার্চে বর্ণনা করা হয়েছে কী ভাবে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর ব্লাড সুগারের মাত্রা কমানো সম্ভব একটি কাউন্সেলিং সেশনের মাধ্যমে। সেই রিসার্চ পেপারে দেখানো হয়েছে যে, এক জন সার্টিফায়েড এডুকেটর কোচের কাউন্সেলিং সেশনের মাধ্যমে প্রায় ৭৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীর সুগার লেভেল কম গিয়েছে। সুতরাং ভারতে আশার আলো দেখাতে পারে এই ধরনের কাউন্সেলিং সেশন। এর মাধ্যমে কমানো যেতে পারে ভারতের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা, যা প্রতি নিয়ত বেড়েই চলেছে। এখনই এর উপরে জোর দিতে পারলে ডায়াবেটিস সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।