আসলে এই রোগ নিয়ে নানা ধরনের ধারণা প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই আসল সত্যিটা থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পছন্দ করেন। যোগসূত্র হোলিস্টিক লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা শিবানী বাজওয়া জানালেন ভুল ধারণাগুলি সম্পর্কে, যা ভেঙে ফেলা প্রয়োজন—
ধারণা ১: পরিবারে কারও ডায়াবেটিস না থাকলে এরোগ হয় না।
আসলে ঘটনা হল, ইদানীং বেশিরভাগ মানুষ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রোগকে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বলে মনে করা হয়। এই রোগ কিন্তু জিনবাহিত নয়। বরং কোনও মানুষের জীবনযাত্রার উপরই নির্ভর করে এই রোগ। অ্যালকোহল, ধূমপান, জিএমও খাবার, রাতজাগা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, জাঙ্ক ফুড টাইপ ১-এর চেয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় বেশি। ফ্যাটি লিভার, PCOS, ইস্ট্রোজেনের আধিপত্যও এক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আমাকে বাঁচতে দিন’, কাতর আর্জি খারিজ! বিচারকের এক নির্দেশেই মাথায় হাত জ্যোতিপ্রিয়র
ধারণা ২: ওজন বেশি মানেই ডায়াবেটিস।
এটা সত্যি যে অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ায়। তবে এমনও দেখা যায় যে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখলে অনেক স্থূলকায় মানুষও সুস্থ থাকতে পারেন। আবার স্বাভাবিক ওজন থাকা সত্ত্বেও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকতে পারে জীবনযাত্রার অসুস্থতার কারণে।
ধারণা ৩: চিনি খেলেই ডায়াবেটিস হবে।
চিনি খেলেই ডায়াবেটিস হয় না। তবে মিষ্টি এবং চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণের পরিমাণ অবশ্যই কমানো উচিত। যেকোনও খাবার শরীরে গ্লুকোজ তৈরি করে। এই গ্লুকোজই হল ব্লাড সুগার, যা শরীরে শক্তির মূল উৎস। ইনসুলিনের কাজ হল রক্ত থেকে গ্লুকোজকে কোষে স্থানান্তরিত করা। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না বা তা ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারে না। তার ফলে অতিরিক্ত চিনি রক্তে থেকে যায়।
যাঁদের ডায়াবেটিস নেই, তাঁরা অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হবে না, তবে তা অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনতে পারে। এই অতিরিক্ত ওজন আবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াবে।
আরও পড়ুন: মহেশতলায় রাতের অন্ধকারে দোকান ঘর ঢালাই এক ব্যক্তির! রাতে কেন? কারণ শুনলে আঁতকে উঠবেন
ধারণা ৪: শর্করা নিয়ন্ত্রণে এলেই ডায়াবেটিসের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
আসলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম করেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। কিন্তু ডায়াবেটিস এমন রোগ, যা বাড়তে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ থাকার রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। ফ্যাটি লিভার কমাতেও কিছু ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।