আরও পড়ুনঃ বাচ্চাকে স্কুলের টিফিনে ‘এই’ খাবারগুলি দেন? কী ভয়ানক ক্ষতি করছেন, ভাবতেও পারবেন না
এই সবজির পিচ্ছিল ধরনের জন্য অনেকেই তা খেতে চান না। অথচ এই সবজি ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারের মতো একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর। গুরুজনেরা বলেন, ঢেঁড়শ খেলে বুদ্ধি বাড়ে। আবার চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়েটে ঢেঁড়শ যোগ করতে হবে। কারণ এর মধ্যে থাকে লেকটিন নামের এক ধরনের প্রোটিন। যা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। শুধু তা-ই নয়, ঢেঁড়শে থাকা ফোলেট বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের আশঙ্কা প্রতিরোধ করে।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দেহে ফোলেটের ঘাটতির কারণে স্তন, ঘাড়, অগ্ন্যাশয় এবং ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। আর সবথেকে বড় কথা হল, গর্ভাবস্থায় এই উপাদান বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়। আবার ঢেঁড়শের বীজের শুকনো গুঁড়োও কিন্তু অত্যন্ত উপকারী। কারণ এটি ডায়াবেটিসের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে থাকা ফাইবার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অপরিহার্য। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য অনুযায়ী, ঢেঁড়শের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল হ্রাস করে।
আসলে ঢেঁড়শের বীজে থাকা উপাদান চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ডায়েটে ঢেঁড়শ থাকলে বা নিয়মিত ঢেঁড়শ খেলে তা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন-কে সমৃদ্ধ ঢেঁড়শ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভাল। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন-ই ক্যালসিয়াম শোষণ করতেও সাহায্য করে। এছাড়া যাঁরা ব্রণ, কিডনির রোগ এবং জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা ফ্রুক্টানস, অক্সালেট এবং সোলামিনের জোগান থাকার কারণে উপযুক্ত মাত্রায় এটি খেতে পারেন। এছাড়া ঢেঁড়শের মধ্যে থাকা শ্লেষ্মা জাতীয় উপাদান পেটের প্রদাহ কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক। এখানেই শেষ নয়, এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। ঢেঁড়শের শ্লেষ্মা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং অ্যাসিডিটি কমাতেও কার্যকর। এমনকী হ্রাস করে মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকিও।
সেরা উপকারিতা পাওয়ার জন্য ডাক্তাররা এই কায়দায় ঢেঁড়শ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন যে, ঢেঁড়শ পাতলা টুকরোয় কাটতে হবে। এর পর তা এক গ্লাস জলে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে সেই ঢেঁড়শ ভেজানো জল পান করলে দেহের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চিকিৎসকদের আরও দাবি, ঢেঁড়শের জল পান করে ওজনও কমানো সম্ভব। সেই সঙ্গে এই জল ত্বকে লাগালে ত্বকের জেল্লা ও সৌন্দর্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়।