শচীন কালবাগ নামে জনৈক ট্যুইটারেত্তি উল্লেখ করেছেন জোম্যাটো ডেলিভারি পার্সন মনীশ ভগেলুরাম গুপ্তার কথা ৷ তাঁর কর্মপটুতায় মুগ্ধ গ্রাহক শচীন ৷ ট্যুইটারে (Twitter) তিনি লিখেছেন, মনীশ যে রেস্তরাঁয় খাবার সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর ওয়ালেট খোয়া গিয়েছিল ৷ কিন্তু সেখানে অপেক্ষা করার পরিবর্তে তিনি নির্দিষ্ট গন্তব্যে অর্থাৎ শচীন কালবাগের বাড়িতে এসেছিলেন ৷ এমনকি, খাবার-সহ কিছুটা দেরি করে পৌঁছনর জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন ৷
advertisement
এই ট্যুইট বার্তা ঘিরেই এখন ট্যুইটার বিভক্ত ৷ নেটিজেনদের কাছ থেকে এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ৷ অধিকাংশ নেটিজেনের দাবি, মনীশ তাঁর চাকরি হারানোর ভয়ে ওই পরিস্থিতিতে খাবার ডেলিভারি করতে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন : পুষ্টিগুণে অতুলনীয় করলার রস রোজ খান? এর ক্ষতিকর দিকগুলো জানেন তো?
শচীন ট্যুইটারে পোস্ট করেন যে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী তাঁদের বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের এক ঠিকানা থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন ৷ অ্যাপে তাঁরা দেখেন যে খাবার পৌঁছতে সময় লাগবে ১০ মিনিট ৷ কিন্তু তাঁদের দাবি, সময় ৩০ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের কাছে খাবার এসে পৌঁছয়নি ৷ এর পর তাঁরা ফোন করে জানতে পারেন যে ডেলিভারি পার্সন তাঁর ওয়ালেট হারিয়ে ফেলেছেন ৷ কিন্তু তিনি এও জানান, খাবার নিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছবেন ৷ সব শুনে শচীনের স্ত্রী বার বার বলেন তাঁকে খাবার না দিয়েই ফিরে যেতে ৷ কিন্তু তিনি তাঁদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে খাবার নিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যান ৷
শচীনকে মনীশ জানান যে তাঁর সবথেকে বেশি উদ্বেগের কারণ তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং নগদ টাকা হারিয়ে ফেলেছেন ৷ তাঁর সন্তানের অনলাইন ক্লাস নিয়ে তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেনই ৷ তার উপর নতুন লাইসেন্সের জন্য এজেন্টকে আরও টাকা দিতে হবে, সেটাও ছিল তাঁর উদ্বেগের কারণ ৷
আরও পড়ুন : আপনি নিরামিষাশী? ডায়েটে এই খাবারগুলি না থাকলে কিন্তু বিপদ বাড়বে
কাজের প্রতি মনীশের নিষ্ঠা দেখে অভিভূত ট্যুইটারেত্তি শচীন কালবাগ ৷ তাঁর মনে হয়েছে এই অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা প্রয়োজন ৷ তবে একইসঙ্গে তাঁর মনে হয়েছে কাজের প্রতি এই উৎকণ্ঠা মনীশের এসেছে কাজ হারানোর ভয় থেকেই ৷
তাঁকে সমর্থন করেছেন অধিকাংশ ট্যুইটারেত্তি ৷ অনেকেই দাবি করেছেন, মনীশের মতো এরকম একজন কর্মীর আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ৷ এর আগেও ডেলিভারি কর্মী তথা গ্রাহকদের তরফে সোচ্চার দাবি উঠেছে ফুড ডেলিভারি অ্যাপের ওয়ার্ক এথিকস নিয়ে ৷ সামাজিক মাধ্যমেও শেয়ার করা হয়েছে একাধিক পোস্ট ৷ কিন্তু তার পরেও ছবিটা একইরকম রয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৷