ঘরের সাজে স্থায়িত্ব কী ভাবে আসে
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপত্রের স্থায়িত্ব হল সেটাই যেখানে বর্তমানের চাহিদার সঙ্গে ভবিষ্যতের প্রয়োজনও, সামগ্রিক ভাবে পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় থাকে। আর সেটাই গৃহসাজকে করে তোলে টেকসই।
দেখে নেওয়া যাক আমাদের বাড়ির সজ্জায় কী ভাবে ছোটখাটো জিনিস যুক্ত করে তাকে আমরা টেকসই করতে পারি!
advertisement
মেঝে ও দেওয়াল
নন-টক্সিক রঙ শুধু পরিবেশের জন্যই উপকারী নয়, এতে সামগ্রিকভাবে বাড়ির বাতাসের মান উন্নত হয়। তাই ভিওসিএস অর্থাৎ ভোলাটাইল অরগানিক উপাদানের মাত্রা কম রয়েছে এমন রঙ ঘরের জন্য বাছাই করতে হবে। সেক্ষেত্রে ওয়াটার-বেসড অথবা মিল্ক পেইন্ট এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আরও পড়ুন : ওমিক্রনের দাপটে সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় যে যে খাবার সম্পূর্ণ না থাকলেই ভাল
অর্গানিক জিনিসপত্র
হাতের কাছে বিভিন্ন বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি জিনিস ব্যবহার করা যায়। যেমন পাটের মাদুর মেঝের সৌন্দর্য বাড়াবে। আবার দেওয়ালে টালির বদলে বাঁশের সাজ এনে দেবে আরণ্যক সৌন্দর্য।
আরও পড়ুন : নতুন বছরের শীতে মিষ্টি আলু খাওয়ায় রাশ না টানলেই নয়, জেনে নিন কেন!
সবুজে মোড়া ঘর
গাছ এমন একটি জিনিস যা শুধু আমাদের ঘরের শোভা বর্ধনই করে না, আমাদের জীবনে সব দিক থেকেই গাছের অবদান অপরিসীম। যে কোনও আকৃতির এবং রঙের গাছ যে কোনও জায়গায় বাঁচতে পারে এবং সামগ্রিকভাবে ঘরের বাতাসের মান উন্নত করে।
আরও পড়ুন : মানুন কিছু নিয়ম, দেদার ভুরিভোজেও বাড়বে না ওজন
স্বাভাবিক আলো
ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো ঢোকে সে দিকে নজর রাখতে হবে৷ যার জন্য ঘরে হালকা পর্দা লাগানো উচিত হবে। যাতে সূর্যের আলো জানলা-দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। একই সঙ্গে ঘরের জানলা আটকে যেন কোনও ভারী আসবাবপত্র না থাকে সে দিকে নজর দিতে হবে৷
আলোর স্থায়িত্ব
রাতে ঘরের আলোর জন্য গতানুগতিক লাইটের চেয়ে এলইডি বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এই এলইডি বালবগুলি ৭৫% এনার্জি সাশ্রয় করতে পারে।
ভিনটেজ এবং আপসাইকেলড লুক
কোনও পুরনো হাতে আঁকা ছবি এবং পুরনো আসবাবপত্র দিয়ে ঘর সাজালে ঘরে একেবারের নতুন এবং এক অন্য ধরনের লুক চলে আসে। সেক্ষেত্রে ঘর সাজানোয় স্থায়িত্ব আনতে ভিনটেজ এবং আপসাইকেলড জিনিসের ব্যবহার খুব ভালো উপায়।