কিন্তু কেন এমন হয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চোখের নিচের ত্বক সবচেয়ে পাতলা যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খুব সহজে কালো হয়ে যায়।হাইপারপিগমেন্টেশন, দুর্বল রক্ত সঞ্চালন, ভিটামিন সি-র অভাবেও এমনটা হতে পারে।
হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ফোলাভাব নির্মূল করা কঠিন তবে এই সমস্যা যে একেবারে দূর করা যায় না তা কিন্তু নয়। রইল ডার্ক সার্কেল দূর করার সহজ কিছু উপায়।
advertisement
ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম ব্যবহার করা
চোখের নিচের ত্বক যেহেতু সবচেয়ে পাতলা তাই সেখানে যে কোনও ব্যবহার করলে সেটা কোমল ভাবে করতে হবে। ভিটামিন সি, রেটিনয়েড এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্রিম চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে উপকারী বলে প্রমাণিত।
চোখের নিচের জন্য ক্রিম ব্যবহার করা
একটি আন্ডার আই ক্রিম ফাইন লাইন, ডার্ক সার্কেল এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে, এর হাইড্রেটিং উপাদানগুলি ফোলাভাব প্রশমিত করতে সাহায্য করে। হাইড্রেটিং অণুগুলি দীর্ঘস্থায়ী হাইড্রেশনের জন্য ত্বকে আর্দ্রতা টেনে নেয়। উপরন্তু এই নিরাপদ এবং কার্যকর উপাদান ব্যবহার করার ফলে ৩-৬ সপ্তাহের মধ্যে বেশ ভালো রকমের পার্থক্য বোঝা যায়।
কিন্তু ক্রিমগুলি বেছে নেওয়ার আগে, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার। যেহেতু আমাদের ত্বকের প্রকার আলাদা আলাদা হয় তাই একেকটি পণ্য একেকটি ত্বকে একেক রকম ভাবে বিক্রিয়া করে।
কোল্ড কম্প্রেস বা ঠান্ডা জলের সেঁক
কোল্ড কম্প্রেস ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে প্রসারিত রক্তনালী সঙ্কুচিত করে। একটি মসলিন কাপড়ের ভিতরে বরফের কিউবগুলি প্রায় ২০ মিনিটের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা জলে ভেজানো কাপড়ও চোখের নিচে ব্যবহার করা যায়।
ভেজা চায়ের ব্যাগ
চোখের নিচে ঠান্ডা টিব্যাগ রাখলে ডার্ক সার্কেল দূর হয়। চায়ে ক্যাফেইন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা ত্বকের নিচে একটি প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলে রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করে।
এক্ষেত্রে দুটি কালো বা সবুজ টিব্যাগ গরম জলে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রাখতে হবে। টিব্যাগগুলি যথেষ্ট ঠান্ডা হয়ে গেলে, ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করে তার উপর রাখতে হবে। তার পরে, ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুয়ে আরও ১০ মিনিট চোখ বন্ধ রাখতে হবে।
বাড়তি ঘুম
ডার্ক সার্কেল কমানোর সবচেয়ে সহজ কিন্তু সেরা প্রতিকার হল ঘুম। এছাড়া স্বাস্থ্যকর ডায়েট, হাইড্রেটেড থাকা এবং সঠিক পরিমাণে ঘুম চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
