নিয়মিত আন্ডারওয়্যার বদলাতে হবে: পিগমেন্টেশন সাধারণত ঘর্ষণের ফলে হয়। এ থেকে বাঁচতে নিয়মিত আন্ডারওয়্যার বদলাতে হবে। প্রয়োজন পড়লে দিনে ২ থেকে ৩ বার। এমন পোশাক বা প্যান্ট পরতে হবে যাতে তা নিতম্বের সঙ্গে ঘষা না খায়। তেমন হলে জিনস এড়িয়ে ফর্মাল প্যান্ট পরা যেতে পারে।
ক্লিনার ব্যবহার করা ভালো কিন্তু স্ক্র্যাব নয়: নিতম্বে বডি ওয়াশ লাগিয়ে আলতো হাতে মাসাজ করতে হবে। কিন্তু ঘষলে চলবে না। এতে ঘর্ষণের সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং সেলুলয়েট দূর হয়। অন্য কাউকে বলতে সমস্যা হলে নিজেই স্নানের আগে মিনিট দশেক সময় বের করে মাসাজ করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : ভিকি ক্যাটরিনার রঙিন মুহূর্ত থেকে অভিষেকের জন্মদিন, তারকাদের পারিবারিক মুহূর্ত
ময়েশ্চারাইজার: শরীরের অন্যান্য অঙ্গের যত্ন নিলেও নিতম্ব অবহেলিতই থাকে। ফলে অনেক সময় নিতম্বের ত্বক খসখসে হয়ে যায়। তাই শরীরের এই বিশেষ জায়গায় ত্বকের আদ্রর্তা বজায় রাখতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগানো খুবই জরুরি। চাইলে নারকেল তেলও ব্যবহার করা যায়।
ডিটক্স ড্রিঙ্ক: খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। এর উপর শুধু স্বাস্থ্য নয়, ত্বকের স্বাস্থ্যও নির্ভর করে। প্রতিদিন যদি ডিটক্স পানীয় পান করা যায় তাহলে শরীরের অন্যান্য অংশের মতো নিতম্বের ত্বকও হয়ে উঠবে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন : দিনের শেষে প্রায়ই পা ফুলে উঠছে? সমস্যা থেকে মুক্তি এই ঘরোয়া টোটকাগুলিতে
ঘরোয়া প্যাক: বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে যা নিতম্বের কালো দাগ তুলতে সাহায্য করে। এ জন্য কলা ও চিনির প্যাক লাগানো যেতে পারে। কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই এবং সি, আর এর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে তৈরি হয় এক দুর্দান্ত প্যাক যা নিতম্বের উপর জমে থাকা মৃত কোষ দূর করতে দারুণ কার্যকরী। অনেকেই নিতম্বে ব্রনর সমস্যায় ভোগেন, এই প্যাক সেই সমস্যাও দূর করবে।
আরও পড়ুন : মাউথ আলসারের জ্বালায় কষ্ট পান প্রায়ই? দেখুন এর মধ্যে কোনও কারণে হচ্ছে কিনা
এছাড়া অলিভ অয়েল এবং কফি পাউডার মিশিয়ে একটা স্মুদ পেস্ট তৈরি করেও নিতম্বে লাগানো যায়। আধঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই পেস্ট লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে। এটা স্ট্রেচমার্ক-এর দাগ দূর করতে সাহায্য করে তাই নয়, ত্বকের ইলাস্টিসিটি অর্থাৎ টানটান ভাবও ফিরিয়ে আনে।
লেজার ট্রিটমেন্ট: তবে তাৎক্ষণিক ফল পেতে চাইলে লেজার ট্রিটমেন্টের বিকল্প নেই। এ জন্য লেজার থেরাপিস্ট অথবা ডারমাটোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
ইমোলিয়েন্ট ক্রিম বা তেল: এটা নিতম্বের ত্বককে ব্রন, ফুসকুড়ি হওয়া থেকে রক্ষা করবে।